একে আবিষ্কার হয়নি কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা ভ্যাকসিন। তার উপর ক্রমশ উপসর্গ বদলাচ্ছে কোভিড ১৯। করোনাভাইরাস সম্পর্কে যখন কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল যে, আক্রান্তদের মধ্যে কারও কারও ডায়েরিয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে সেটা প্রথম পর্যায়ে নয়; একটু পরে। আর সেটাও ২ শতাংশ রোগীর বেশি নয়। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। অনেক রোগীই আসছেন যাঁদের প্রথমেই ডায়েরিয়া ধরা পড়ছে। প্রায় ১০ শতাংশ রোগীই ডায়েরিয়া ফলেই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন। তারপর তাঁদের জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

প্রথমে করোনার উপসর্গ হিসেবে জ্বর, গলাব্যথা, গলা জ্বালা, হাঁচি এবং শ্বাসকষ্ট- এইসব লক্ষণের কথাই জানা ছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা নিযুক্ত চিকিৎসকদের মতে, এখন পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। ক্রমশ উপসর্গ বদল করছে করোনা।
এসবের সঙ্গেই আছে গন্ধ না পাওয়ার উপসর্গ। অনেক রোগীর শরীরে করোনার অন্য কোনো লক্ষণও দেখা গেলও তাঁরা ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। পরে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে তাঁরা করোনা আক্রান্ত। তবে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে ডায়রিয়া। এই ডায়েরিয়ারকে বলা হচ্ছে ‘করোনা ডায়েরিয়া’। কারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সারছে না এই ডায়েরিয়া।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ডায়েরিয়ার উল্লেখ প্রশিক্ষণে একেবারে বলা হয়নি, তা নয়। হু-র নির্দেশিকাতেও এর উল্লেখ রয়েছে। কেন এ ভাবে কিছু ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে করোনার উপসর্গ, সেটাই এখন চিন্তার কারণ চিকিৎসকদের।
