আইনি লড়াইয়ে প্রমাণিত হয়েছে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ৷ তারই জেরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতের আইন ও শিক্ষা-সহ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চুদাসামার বিধায়কপদ বাতিল করল গুজরাট হাই কোর্ট। চরম অস্বস্তিতে বিজয় রূপানির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। দেশের রাজনীতিতে এ ধরনের ঘটনা বিরল৷
২০১৭ সালে গুজরাতের আমেদাবাদের ঢোলকা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা ভূপেন্দ্র সিং চুদাসামা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নিকটতম কংগ্রেস প্রার্থী অশ্বিনী রাঠোরকে মাত্র ৩২৭ ভোটে পরাজিত করেন তিনি।
ফল প্রকাশের পরেই ভূপেন্দ্র সিং-এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস প্রার্থী অশ্বিনী রাঠোর৷ গুজরাট হাই কোর্টে মামলা রুজু করে তিনি অভিযোগ জানান, বিজেপি প্রার্থী দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন৷ সেই কাজে সাহায্য করেছেন ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার ও ঢোলকা এলাকার ডেপুটি কালেক্টর ধবল জানি। গণনার নিয়ম না মেনে ৪২৯টি ভোট বাতিল করেছিলেন ওই আধিকারিক। এর ফলেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী৷
২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৭৩টি শুনানি পর শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি পরেশ উপাধ্যায় বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ চুদাসামার বিধায়কপদ খারিজ করেন। পাশাপাশি দোষী সাব্যস্ত করা হয় ঢোলকার ডেপুটি কালেক্টর ধবল জানিকেও। বিজয় রুপানি মন্ত্রিসভার সদস্য ভূপেন্দ্র সিংহ চুদাসামার বিধায়কপদ খারিজ হওয়ার এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
হাইকোর্টের এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ভূপেন্দ্র সিংহ চুদাসামা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।