কেন্দ্রের প্যাকেজ বিগ জিরো, আমাদের নতুন প্রকল্প: মমতা

ফাইল চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,” কেন্দ্রের প্যাকেজ ঘোড়ার ডিম। রাজ্য কিছু পেলো না। সঙ্কট মোকাবিলায় কিছুই নেই। ক্ষুদ্রশিল্প, কর্মসংস্থান, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কিছু নেই। মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হল। পরিযায়ী শ্রমিক, কৃষকদের জন্য কিছু নেই। এটা জিডিপির শূন্য শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রাজ্যকে টাকা নিতে দিল না। আয়কর পিছনোটা দয়া করা নয়। রাজ্য চলবে কী করে? রাজ্যের অধিকার কেড়ে লকডাউনের নামে রাজ্যে লকআউট। ধিক্কার জানাই।”

মমতা বলেন,” এর মধ্যেও আমরা কর্মীদের জন্য কাজ করছি। জয় বাংলা ছাড়ছি। দু মাস আবার দেব।

অ্যাড হক বোনাস ৪২০০ টাকা দিচ্ছি।
এবার প্রাপকের ঊর্ধ্বসীমা ৩৪,০০০টাকা।
উৎসব অগ্রিম ১০,০০০ টাকা।

প্রায় ৪০০ কোটির তহবিল।

আরও সিদ্ধান্ত, গ্রামে ১০ লক্ষ বাড়ি হবে।
১০০ দিনের কাজ বাড়বে।

৫০,০০০ একর জমিতে আড়াই লক্ষ মানুষের প্রকল্প “মাটির সৃষ্টি”।

বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান।

অকৃষিজমিকে কাজে লাগানো হবে।
হর্টিকালচার, মাছচাষ, পশুপালন হবে।
চাষীদের ১০-২০ একর পতিত জমি ও খাস জমি নিয়ে সমবায় সমিতি হবে। সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে সাহায্য। ঠিকাদার নয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে কাজ।
৬৫০০ একরে বেশ কিছু কাজ শুরু। এটাই মডেল।

আরেকটি প্রকল্প।
বাইরে থেকে যারা এখন আসছে, তারা দুর্বল, ক্ষতিগ্রস্ত।

লকডাউন তোলার পর সব জেলায় সমীক্ষা করা হবে। পরিস্থিতি বুঝতে এটা হবে।”

মমতা বলেন,” আত্মনির্ভর হতে হবে, বলব না। নিজেরা করেই দেখায়। দেশ পিপিই বিদেশে অর্ডারে দিচ্ছিল। আমরা এখানে নিজেরাই করেছি। বিশ্বমানের পিপিই, মাস্ক। ১৩.২ লাখ শ্রমদিবস হল। আরও আট লাখ হবে। দেশে সংকট। আজ অর্থমন্ত্রী যা বললেন, আরও ডুববে। উনি প্রধানমন্ত্রীকে মিসলিড করছে কিনা দেখার।”

মমতা বলেন,” রাজ্যগুলোকে দুর্বল করে দেশ শক্তিশালী হবে কী করে?”

Previous articleকেন্দ্র ভুল বোঝাচ্ছে, প্যাকেজ অনেক ছোট: অমিত
Next articleবিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা