আর্থিক প্যাকেজ: প্রথম দিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য তিন লক্ষ কোটির ঋণ সহ একগুচ্ছ ঘোষণা নির্মলার

আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের লক্ষ্যে মোদি সরকারের ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের বিভিন্ন সুবিধা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আগামী তিনদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে প্যাকেজ ঘোষণা করবেন তিনি। পূর্বঘোষিত ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার গরিব কল্যাণ যোজনা ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহায়তার ঘোষণার পর বুধবার অর্থমন্ত্রী এবারের আর্থিক প্যাকেজে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য যে যে বিষয়গুলি ঘোষণা করলেন সেগুলি হল:

ছয় ধাপে এমএসএমই বা মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকে সাহায্য।

কোনও গ্যারান্টি ছাড়া মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে, যার ফলে উপকৃত হবে ৪৫ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট। চার বছরের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে। ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হলে মিলবে ঋণ।

৪৫ দিনের মধ্যে পাওনা মেটানো হবে। ১ বছরের জন্য ঋণের উপর সুদ মকুব করবে কেন্দ্র।

অনাদায়ী ঋণগ্রস্থ বা এনপিএ-ভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাকে ঋণ। ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। এর ফলে ২ লক্ষ সংস্থা উপকৃত হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে ঘুরে দাঁড়াতে এই সহায়তা।

২০০ কোটির কম বরাতে গ্লোবাল টেন্ডার নয়। শুধু দেশিয় সংস্থা অংশ নিতে পারবে।

বছরে ৫ কোটি টার্নওভার ও ১ কোটি বিনিয়োগ হলেই মাইক্রো ইউনিট। এমএসএমই-কে উৎসাহ দিতেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থার সংজ্ঞা বদল।

১৫ হাজারের কম বেতনের কর্মীদের
কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে আরও তিন মাস অনুদান দেবে কেন্দ্র। জুন থেকে অগাস্ট কেন্দ্র ইপিএফে এই সহায়তা দেবে। উপকৃত হবেন ৭২ লক্ষ ২২ হাজার কর্মী।

পিএফ বাবদ ১২ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ কাটা হবে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে। এর ফলে কর্মীদের হাতে বাড়তি টাকা আসবে। ১০ শতাংশ দেবে সংস্থাও।

মাইক্রো ফিনান্স, হাউসিং ফিনান্স ও নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের জন্য ঘোষণা। বাড়তি ঋণ দিতে পারবে নন ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলি। নন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ৩০ হাজার কোটি টাকা সহায়তা।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন সংস্থাগুলিকে ৯০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে মূলধনের জোগান দিতেই এই উদ্যোগ।

৪৫ দিনের মধ্যে এমএসএমই-র পাওনা মেটানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় থাকা কর্মীদেরও পিএফ।

বৃহস্পতিবার থেকে টিডিএস ও টিসিএসের চলতি হারে বদল। ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত এই করের হার কমছে। চলতি হারের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম টিডিএস দিতে হবে, যার ফলে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আইটি রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

সরকারি ঠিকাদারদের জন্য বাড়তি ৬ মাস সময় বরাদ্দ।

Previous article‘আজীবন’ ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থা চালু করল টুইটার
Next articleকরোনা রোধ: বিশ্ব বাজারে রেমডেসিভির পৌঁছে দেবে ভারতীয় সংস্থা