Thursday, August 28, 2025

শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড গঠন নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার, বিস্ফোরক মেয়র

Date:

Share post:

করোনার জেরে পুরভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯৩টি পুরসভা বা কর্পোরেশনে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক মণ্ডলী গঠন করেছে রাজ্যে। যার মাথায় বসানো হয়েছে প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। পাশাপাশি, জেলার পুরসভাগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানকেই প্রশাসক বোর্ডের শীর্ষে বসানো হচ্ছে।

একইভাবে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড গঠন করছে রাজ্য। সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের “দ্বিচারিতার” অভিযোগ তুলেছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য নিজেই।

রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে শিলিগুড়ির মেয়র বলেন, “শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের মেয়াদ আগামী ২৭মে, ২০২০ শেষ হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন এবং পৌর দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি নির্দেশনামায় দেখতে পেলাম, করোনা ভাইরাসের জন্য যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায়নি, সেহেতু শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনে প্রশাসক মন্ডলী বসানো হচ্ছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে দেখলাম, আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবং আমার আরও ৬ জন বর্তমান পৌরবোর্ডের মেয়র পরিষদ সদস্যদের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন কাউন্সিলরকে এই প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে।

অথচ কলকাতা-সহ বিভিন্ন পৌরসভায় যে প্রশাসক মন্ডলীগুলি এখনও পর্যন্ত বসানো হয়েছে, সেখানে কোথাও বিরোধী দলের কাউকে রাখা হয়নি। তাহলে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে কেন এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত? রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক-অনৈতিক এবং শিলিগুড়ির মানুষের প্রতি অমর্যাদাকর এবং অপমান কর।

আবার প্রমাণিত হলো শিলিগুড়ির প্রতি এই সরকার কতটা প্রতিহিংসাপরায়ন। তাদের কাছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা আসলে অগ্রাধিকার নয়, তাদের মূল বিষয় এই অজুহাতে এক সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি করা।

আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং তা প্রত্যাখ্যান করছি। দাবি করছি, এই নির্দেশনামা বাতিল করে সারা রাজ্যের অন্য পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভাতে যে ধরনের প্রশাসক মন্ডলী বসানো হয়েছে এই ক্ষেত্রেও তা অনুসরণ করা হোক।

আমি খুব বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, যে তৃণমূল কংগ্রেস দল ও তার কাউন্সিলররা যারা গত পাঁচবছর ধরে শিলিগুড়ির উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে গেছেন, তাদেরকে প্রশাসক মন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ অন্য পৌরসভাগুলিতে বিরোধীদেরকে কোথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

তাই আমার প্রশ্ন, শিলিগুড়ি কি রাজ্যের বাইরে এবং এখানকার নাগরিকরা কি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক ?”

spot_img

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...