মুকুল হঠাৎ “stay home, stay well” নীতিতে কেন, জল্পনা বিজেপিতেই

করোনাআবহে প্রায় রোজ সাংবাদিক বৈঠক করছেন দিলীপ ঘোষ। বাইট দিচ্ছেন রাহুল সিনহা। এলাকায় ছুটছেন লকেট। ভিডিও ছাড়ছেন একাধিক সাংসদ। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের একাধিক জেলায়। টিভির প্যানেলে প্রণয় দত্তরা।

কিন্তু এমন সময়ে মুকুল রায় কোথায়?
যখন বিজেপি নবান্নের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে, তখনও মুকুল নিখোঁজ। বড়জোর দু একটি টুইট। সেও রুটিনমাফিক। দলের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর প্রচারে তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি ব্রাত্য।

দলীয় সূত্রে খবর, এরকম সময়েও মুকুল রায়কে প্রচারের সেনাপতি করল না বিজেপি। তৃণমূল যেখানে নিত্যনতুন মুখ আনছে, সেখানে বিজেপি দুএকজনের উপরেই ভরসা রাখছে।

প্রশ্ন হল, বিজেপি মুকুলকে নামতে দিল না? নাকি মুকুল নিজেকে গুটিয়ে রাখলেন? কখনও বিধাননগরে। কখনও কাঁচরাপাড়ায়।
বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বলছে, দিলীপ ঘোষ নিজে রোজ সামলাচ্ছেন বলে কার্যকরী ধারাবাহিকতা থাকছে। গ্রহণযোগ্য হচ্ছে।
অন্য শিবির বলছে, এই সময় মুকুলকেও নামালে বিজেপি সুফল পেত।

অন্যদিকে মুকুলশিবিরেও দুরকম খবর।
এক, দল কাজে না লাগালে মুকুল কী করবেন? তিনি সম্মানজনক দূরত্ব রেখে চলছেন। দল কাজ করতে না দিলে তিনি আর যেচেপড়ে তৃণমূলের সঙ্গে তিক্ততা বাড়াবেন কেন? বরং মুকুল অনুগামী অনেকে বিকল্প ভাবনার পক্ষে।

আর দুই, মুকুল রায় নিজেই একটু গুটিয়ে খেলছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিল্লির সূত্রে তাঁকে বলা হয়েছে করোনাপর্ব মিটলে বাংলা নিয়ে নামা হবে। তখন বিশেষভাবে বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে মুকুলকে। তিনি বিষয়টা দেখে নিতে সময় নিচ্ছেন। এখন রাজ্যস্তরে রেষারেষিতে ঢুকছেন না। দিল্লি কোনো দায়িত্ব দিলে নেবেন। না হলে বিকল্প ভাববেন। তবে দিল্লির বিষয়ে মুকুল নাকি আশাবাদী।
দিলীপ ঘোষের শিবির অবশ্য নিশ্চিত, দিলীপ-সুব্রত জুটিকে না জানিয়ে দিল্লি কিছুই করবে না।
মুকুল রায়ের শিবির তিতিবিরক্ত। এতকাল হয়ে গেল মুকুলবাবুকে দল কাজে লাগালো না। এখন টিকে থাকতে এই অনুগামীদের অনেককেই বিজেপির অন্য নেতাদের সঙ্গে ঘুরতে হচ্ছে।

এহেন পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের ” stay home, stay well” নীতি বাধ্যতামূলক বা কৌশলী, জল্পনা তা নিয়েই।

Previous articleরাজ্যপালকে পাল্টা, ভাটপাড়া সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তদন্ত দাবি
Next articleফের সাহায্যের হাত বাড়ালেন বারুইপুর হাই স্কুলের প্রাক্তনীরা