করোনা ও আমফান- পরবর্তী পরিস্থিতি একটু স্থিতিশীল হতেই সক্রিয় হলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রধান পরীক্ষকদের বাড়ি থেকে নম্বর সংগ্রহের কাজ শুরু করলেন পর্ষদের কর্মীরা। কলকাতা ও আশপাশের এলাকার একাধিক প্রধান পরীক্ষকের কাছে থাকা নম্বরের শিট কর্মীদের মাধ্যমে পর্ষদ অফিসে জমা পড়ছে। অনেক প্রধান পরীক্ষক অবশ্য পর্ষদের অফিসে গিয়েও নম্বর জমা দিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই কারণেই পর্ষদের গেটে স্যানিটাইজিং মেশিন বসানো হয়েছে। প্রত্যেককে জীবাণুমুক্ত করে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। পর্ষদের কাছে কিছুটা স্বস্তির খবর, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রধান শিক্ষকদের বড় অংশ করোনা-প্রকোপ উপেক্ষা করেই নম্বর জমা দিয়েছেন৷ এদিকে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিশেষ ক্যাম্প করে এই নম্বর সংগ্রহের কাজ করছে পর্ষদ। সূত্রের খবর, এখনও অনেক পরীক্ষকই খাতা জমা দিতে পারেননি। লকডাউন এবং যানবাহনের অভাবে তাঁরা আসতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন। তবে এখনও এঁদের জন্য আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। একাধিক প্রধান পরীক্ষকের বক্তব্য, এই অসুবিধার মধ্যে কাউকে জোর করে আসতে বলা যাচ্ছে না। মাধ্যমিকের ফল কবে বেরতে পারে, তার আভাস পর্ষদ সূত্রে এখনও মেলেনি। ১ জুনের পর লকডাউন উঠে গেলে বাকি খাতা জমা পড়বে বলে আশা করছেন কর্তারা। তারপরই ফলপ্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।