Tuesday, August 26, 2025

আমফানে বিপর্যস্ত গোটা বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চেনা বাংলার ছবি পাল্টে দিয়েছে। তবে এই দুর্যোগকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাল টালা ট্যাঙ্ক। ১৩০ কিলোমিটার বেগে আসা ঘূর্ণিঝড়কে তোয়াক্কা করল না শতাব্দী প্রাচীন এই ট্যাঙ্ক। জল ধরে ওজন বাড়িয়ে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা এ যাত্রায় উতরে দিল টালা ট্যাঙ্ককে। জানা গিয়েছে, এই কাজের নেপথ্যে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডিজিএম (জল) অমিতাভ পাল।

এই ট্যাঙ্কের ক্রেন নিয়ে আশঙ্কা ছিল ইঞ্জিনিয়ারদের। এদিকে ট্যাঙ্কের একাংশের মেরামতির কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই এই ট্যাঙ্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয় কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। হাইড্রোলিক সিস্টেমে টালা ট্যাঙ্কে অনবরত জল ওঠানামা করে। ট্যাঙ্কে জল জমা থাকে না। ট্যাঙ্কের ৪টি ইউনিট ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জল ভরে জল সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন অমিতাভ পাল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত পর্যন্ত কোনও জল নামতে দেওয়া হবে না। বাড়ানো হবে ট্যাঙ্কের ওজন। চাবি বন্ধ করে জল নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্যাঙ্কের জল ধারণ ক্ষমতা ৯ মিলিয়ন গ্যালন। ৮ মিলিয়ন গ্যালন জল ভরা হয় ট্যাঙ্কে। ওজন হয় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। যার ফলে আঁচড় কাটতে পারল না আমফান। সোমবার পরীক্ষার পর ইঞ্জিনিয়াররা জানান, সব ঠিক আছে। জল পরিষেবাও কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে স্বাভাবিক রাখা গিয়েছে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে।

পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জল ধরে রেখে ওজন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ট্যাঙ্কের। ট্যাঙ্ক মেরামতির কাজে বিদেশ থেকে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ক্রেন আনা হয়েছিল। তবে শুধুমাত্র সেদিনের জন্য ওই ক্রেন মুভবেল করে দেওয়া হয়। হাওয়ার গতি যেদিকে ছিল ক্রেনও সেদিকেই মুখ করে ছিল। তাই বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।”

Related articles

নর্তকী থেকে প্রৌঢ়া, একদিনে তিন ‘মৃত্যু’ আনন্দপুরে

একইদিনে তিন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আনন্দপুর থানা এলাকায়। তিনটি দেহের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের...

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...

সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও...
Exit mobile version