আমফানের পর মহানগরী এখনও স্বাভাবিক নয়।

দুর্যোগ বড় ছিল ঠিকই; কিন্তু প্রস্তুতি এবং পরবর্তীতে বহু গাফিলতি ছিল, সেটাও ঠিক।
জল, বিদ্যুৎ, নেট না পেয়ে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে।

শেষে সেনা ডাকতে হয়েছে।

তৃণমূলেরই একাধিক নেতা প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাজে অসন্তুষ্ট। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ধুয়ে দিয়েছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অসন্তোষ গোপন নয়। সাধন পান্ডে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। একাধিক নেতা প্রকাশ্যে না বললেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

কেন সিইএসসির সঙ্গে আগে সমন্বয় বাড়ানো হয়নি?
কেন আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি?
কেন সেনা ডাকতে দেরি হল?
জল সরবরাহে কেন আগাম জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল না?

বস্তুত ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী আগাম যথাযথ পদক্ষেপ হয়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্ট ও ক্ষোভ যখন তুঙ্গে, তখন ববি ঔদ্ধত্যের সঙ্গে অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিবৃতির লড়াইতে যাচ্ছেন।
সাধন পান্ডেকে অসুস্থ বলে কটাক্ষ করছেন।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ববির এহেন মানসিকতা ও বিবৃতিতে দলের আরও ক্ষতি হচ্ছে। কাজে যে ভুল ছিল, এটা অধিকাংশই মানছেন। এখন মুখ বুজে সমস্যাগুলোর পুরো সমাধানের আগেই পাল্টা বিবৃতি দিলে হিতে বিপরীত হচ্ছে। আজ ক্ষমতার বৃত্তে থাকায় এটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু মানুষের রাগ বাড়িয়ে দেওয়াটা বিপজ্জনক হতে পারে।

ফিরহাদের শিবির অবশ্য বলছে, পাল্টা না বললে সবাই পেয়ে বসবে। একতরফা সমালোচনা হতে দিলে মানুষ ভুল বুঝবেন। ফলে মাঠে নেমে কাজের পাশাপাশি পাল্টা বিবৃতি জারি রাখাও দরকার।
