পূর্ব ভারতে প্রথম প্লাজমা দান করোনাজয়ীর, রেকর্ড গড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

করোনা যুদ্ধে জিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করবে তিনি। সেই কথা রাখলেন হাবড়ার মেয়ে মনামী বিশ্বাস। রক্ত থেকে প্লাজমা বা রক্তরস বের করে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু করল মেডিক্যালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ। মেডিক্যাল কলেজের হাত ধরে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন মনামী।

বৃহস্পতিবার মনামীর শরীর থেকে প্লাজমা থেরোসিস পদ্ধতিতে রক্তরস সংগ্রহ করা হয়। এই কাজটি করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূন ভট্টাচার্য। এদিন হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ওজন, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। তারপর তাঁকে পাঠানো হয় বিশ্রামে। নির্দিষ্ট সময় শুরু হয় প্লাজমা সংগ্রহের কাজ। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে চলে এই প্রক্রিয়া। প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, পূর্ব ভারতে এই প্রথম থেরাপির জন্য কোনও করোনা জয়ীর প্লাজমা সংগ্রহ করা হল। এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মনামী।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লাজমা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে
চকোলেট, ফ্রুট জ্যুস, মিল্ক শেক খেতে দেওয়া হয়েছে। তাঁর শরীর থেকে ৪১০ মিলিলিটার প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। লোহিত রক্ত কণিকা, প্লেটলেট-সহ রক্তের বাকি উপাদান ফের মনামীর রক্তে প্রবেশ করানো হয়। প্লাজমা থেরাপির জন্য এই প্রথম ব্যবহৃত হল এই ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র।
প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, দশ-বারো পাউচ প্লাজমা দিয়ে সঙ্কটজনক কোভিড রোগীদের জন্য এই থেরাপি শুরু করা হবে।

Previous articleমর্মস্পর্শী: স্টেশনে চিরঘুমে থাকা মায়ের চাদর ধরে তুলতে চাইছে একরত্তি শিশু!
Next articleএখনই লকডাউন তুলতে চায় না রাজ্য, যুক্তি দিয়ে কেন্দ্রকে জানালেন মুখ্যসচিব