রাজ্যের আমফান প্যাকেজকে কটাক্ষ দিলীপের

আমফানের গ্রাসে যাঁরা মাথার ছাদটুকুও হারিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে দু’দিন আগেই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “আমফানের দাপটে অনেকেরই বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, থাকার জায়গাটুকু নেই। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। উমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ লাখ ব্যক্তিকে গৃহনির্মাণের জন্য সরাসরি এই টাকা দেবে রাজ্য সরকার । সেই সঙ্গে একশো দিনের কাজের মাধ্যমে মজুরি বাবদ খরচ হিসাবে আরও ২৮ হাজার কোটি টাকা দেবে রাজ্য।এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে একটি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝড়ের দাপটে উপড়ে গিয়েছে বহু জায়গায় টিউবওয়েল। সেক্ষেত্রে টিউবওয়েলের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।এ ছাড়াও সড়ক মেরামত সহ বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য । তিনি জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে মোট ৬২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। নবান্নের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে অবশ্য এও স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে যে কৃষক বন্ধু প্রকল্প বাবদ ৮০০ কোটি টাকা এবং জয় বাংলা প্রকল্প বাবদ ১০০০ কোটি টাকা এই হিসাবের মধ্যে ধরা রয়েছে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি
দিলীপ ঘোষ এই হিসাব কে ‘মিথ্যের ফুলঝুরি’ বলে কটাক্ষ করেছেন । তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মুখে যে টাকার কথা বলছেন, তার সঙ্গে সরকারের দেওয়া হিসেব মিলছে না।
অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, প্রথমে পাঁচ লাখ পরিবার ও পরে আরও পাঁচ লাখ পরিবারকে এই টাকা দেওয়া হবে।
ওয়াকিবহলমহলের মতে, একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে যে ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, তাকে রাজ্যের প্যাকেজ বলা যায় না। কারণ, ওই প্রকল্পের সিংহভাগ খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার।
একই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরাও। দিলীপ ঘোষের সাফ কথা , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে যা বলছেন আর কাজে যা হচ্ছে তার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে।
এর টাকা ওর ঘাড়ে চাপিয়ে সবাইকে বোকা বানাতেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার যুক্তি , একশো দিনের প্রকল্প খাত থেকে যে ১৪০০ কোটি টাকা খরচের কথা বলা হয়েছে তা রাজ্যের প্যাকেজ নয়, ওটা কেন্দ্রের প্রকল্প হওয়ায় বারো আনা টাকা কেন্দ্রই দেয়। এমনকি কৃষক বন্ধু প্রকল্প বা জয় বাংলা প্রকল্প ইতিমধ্যেই চলছে। তা উমফানের প্যাকেজ হবে কী করে? কৃষি বন্ধু প্রকল্প খাতে উত্তরবঙ্গের কৃষকরাও টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাতেই তো উমফানের কোনও প্রভাব পড়েনি। সেক্ষেত্রে কি হবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ।

Previous articleআবার ভূমিকম্প রাজধানীতে
Next articleসাধনকন্যার হুমকি, তারপরেই পরেশকে শোকজ দলের