সাধন পাণ্ডেকে আক্রমণের জন্য এবার পরেশ পালকেও শোকজ করছে তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,” পরেশ যেভাবে সাধন ও তাঁর কন্যাকে আক্রমণ করেছে, সেই বিষয়টিও দলের নজরে আছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়েছে চিঠি দিতে।”
আমফান পরবর্তী হয়রানি নিয়ে সাধন পান্ডে পুরসভার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান।
এরপর দলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শোকজ করেন।
এদিকে বিধায়ক পরেশ পাল বৃহস্পতিবারই কয়েকজন পুরপিতাকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কড়া আক্রমণ করেন সাধনকে। যা মুখে আসে তাই বলেন। এর মধ্যে তিনি বলেন,” সাধন পান্ডে ওর মেয়েকে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বিজেপিকে খুশি করতে পুরসভার বদনাম করছে।”
পরেশ যেভাবে একাধিক পুরপিতাকে ডেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন, তাতে সকলেই বুঝেছেন এটা উপরের কারুর মদত ছাড়া অসম্ভব।
সাধন এর কোনো উত্তর দেননি।
কিন্তু দলের সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম সাধনকন্যা শ্রেয়ার ফোন পেয়েছেন। দুজনেই বিষয়টি শীর্ষনেতৃত্বকে জানান। শ্রেয়া চরম ক্ষোভের সঙ্গে তাঁদের বলেছেন,” এই অসভ্যতার জবাব আমি সিবিআই অফিসে গিয়েই দেব। লকডাউন উঠলে আমি নিজে গিয়ে কিছু কথা বলে আসব।”
পার্থবাবু শুরু থেকেই সাধনের উপর শোকজের বিষয়টি পছন্দ করেননি। এরপর তিনি হস্তক্ষেপ করেন।
শুক্রবার নিজেই সাংবাদিকদের বলেন,” সাধন আর তাঁর কন্যা সম্পর্কে পরেশ পাল যা বলেছেন দল নজর রেখেছে। শোকজ করা হচ্ছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
অর্থাৎ এবার চিঠি পাবেন পরেশ।
কিন্তু যার কথায় পরেশ এই ঝামেলাটা করলেন, তিনি আড়ালেই থাকলেন।
সাধন অবশ্য পরেশদের কথার গুরুত্ব বা জবাব কোনোটাই দিচ্ছেন না। তিনি আপাতত তাঁর শোকজের চিঠির জবাবি রণকৌশলে ব্যস্ত।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজনীতির লড়াইটা বড়দের মধ্যে থাকলেই সাধন চাপে থাকতেন। কিন্তু পরেশ সাধনের মেয়েকে টেনে মন্তব্য করায় শ্রেয়া ভয়ানক ক্ষুব্ধ। পার্থ এবং ফিরহাদ, দুজনেই সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন। পার্থর ঘনিষ্ঠমহলের খবর, মহাসচিব এখন এসব নন-ইস্যুতে দলকে জড়াতেই চান না। সাধনের সঙ্গে কথা বলেই মেটানো যেত। শোকজের চিঠি আর পরেশের সাংবাদিক বৈঠকে জল ঘোলা হয়েছে। আর সাধন যেহেতু মানুষের হয়রানির কথা বলে শোকজ খেয়েছেন, তাই মানুষের সমর্থন এই ইস্যুতে সাধনের দিকে। পার্থ এখন ভারসাম্য রেখে বিষয়টি মেটাতে চান।
এখন দেখার বিষয় সাধনের শোকজের জবাবি রণকৌশল কী হয়।