একের পর এক পুলিশকর্মী কোভিড – ১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। গড়ফা থানার ৮৬ জন পুলিশকর্মীর মধ্যে কাজ করছেন ৩৩ জন। এত সংখ্যক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অন্যদিকে, অর্ধেকের বেশি পুলিশকর্মী না থাকায় কাজ করতে হচ্ছে সমস্যা। লালবাজার সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা থানায় রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫।

গড়ফা থানার এক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। থানা সূত্রে খবর, ১০ জন সাব-ইনস্পেক্টরের মধ্যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত। ৮ জন এএসআই-এর মধ্যে ১ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৩১ জন কনস্টেবলের মধ্যে ১১ জনের করোনা পজিটিভ। কনস্টেবলের মৃত্যুর পরে আতঙ্কে আসছেন না ৩১ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। ৬ জন হোমগার্ডের মধ্যে ১ জন কোয়ারেন্টাইনে। ছুটিতে ৬ জন পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই থানায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮। শুক্রবার তা বেড়ে হয় ১৪। রবিবার আরও এক সাব-ইনস্পেক্টর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।থানার অতিরিক্ত ওসি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই অবস্থায় আতঙ্কে ভুগছেন পুলিশকর্মীরা। কেউ কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদনও করেছেন। থানার পুলিশ ব্যারাক বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যারাকে থাকা কনস্টেবল ও হোমগার্ডদের সরিয়ে কায়স্থপাড়ায় কলকাতা পুরসভার অতিথিশালায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি কয়েক জনকে রাখা হয়েছে টালিগঞ্জ থানার ব্যারাকে। গড়ফা থানার ওসি সত্যপ্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গড়ফা থানায়। আপাতত তারা অন্য থানা এলাকায় থাকছে। নিয়মিত থানা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল শনিবার পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ১০০ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানা, ট্র্যাফিক গার্ড এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুল মিলিয়ে এই সংখ্যার হিসাব করা হয়েছে। যার মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ জন। তবে সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে গড়ফা থানা এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুল।
