বাংলায় মিডিয়া বিপন্ন! রাজভবনে চা খেয়ে বুঝে এলো প্রেস ক্লাব !!

বাংলার সংবাদমাধ্যম কতখানি ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশে কাজ করছে, কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধিদের রাজভবনে ডেকে তা বোঝালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ প্রায় ঘন্টাখানেক সময় ধরে কার্যত ওই প্রতিনিধিদলের ক্লাস-ই নিয়েছেন রাজ্যপাল ৷

রাজ্যপাল বুঝিয়েছেন, কিছু বলার বা লেখার পরেও যদি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় থাকে, কেবলমাত্র তখনই ‘বাক-স্বাধীনতা’র অর্থ যুক্তিসঙ্গত হয়৷ এ রাজ্য তেমন পরিস্থিতি থেকে অনেক দূরে। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম৷ সংবাদমাধ্যমের মেরুদণ্ড সোজা না হলে, গণতন্ত্র এবং সমাজ উদ্বিগ্ন হবেই৷ বাংলার সংবাদমাধ্যম কতখানি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তা বোঝাতে রাজ্যপাল বলেন, ” রাজ্যপাল পুজো- কার্নিভ্যালে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যম ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে৷ বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তৃতা পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে৷ এ রাজ্যের
সংবাদমাধ্যম এখন সফট টার্গেট৷ পছন্দ না হলেই
সংবাদমাধ্যমকে ফৌজদারি ধারায় অভিযুক্ত হতে হচ্ছে৷ সাংবাদিকদের সরকারি স্বীকৃতি এবং সরকারি বিজ্ঞাপন এ রাজ্যে বড় ভূমিকা পালন করছে৷

রাজ্যপাল প্রেস ক্লাবের পদাধিকারীদের বলেছেন,
“সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে প্রেস ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা দরকার৷ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের প্রতিনিধি হিসাবেই এই ভূমিকা পালন করা উচিত৷ আশা করবো, স্বাধীন, নির্ভীক, নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের পাশে প্রেস ক্লাব দাঁড়াবে।”

প্রেস ক্লাবের পদাধিকারীরা মন দিয়েই রাজ্যপালের কথা শুনেছেন৷ এদিকে রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, প্রেস ক্লাবের তরফে রাজ্যপালকে বলা উচিত ছিলো, কিছু মিডিয়া হাউস একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের যে বরখাস্ত করেই চলেছে, সে বিষয়ে রাজ্যপাল মহোদয় যেন হস্তক্ষেপ করেন৷ রাজ্যপালের হাত ধরে পথ চলা শুরু করা মিডিয়া হাউসটি সাংবাদিকদের বেতন দিচ্ছেনা দীর্ঘদিন, সে বিষয়েও যেন তিনি হস্তক্ষেপ করেন৷ সে সব আলোচনার মধ্যে না গিয়ে সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশেই রাজ্যপালের কথা মন দিয়ে শুনে ফিরে আসেন প্রেস ক্লাবের পদাধিকারীরা৷

Previous articleতিনদিন পর ফের চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ মিলবে!
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ