Saturday, August 23, 2025

আমফানের দাপটে চুরমার সুন্দরবনের প্রায় সব ট্যুরিস্ট স্পট

Date:

Share post:

আমফানের জেরে বিধ্বস্ত সুন্দরবন সংলগ্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলি। সাতমাস আগে ‘বুলবুল’ এসে তছনছ করে দিয়েছিল স্থানগুলি। সেই ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই ফের আমফানের দাপটে চুরমার।

সাতমাস আগে লজ এবং অতিথি নিবাসগুলির বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবুজায়ন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামোই তছনছ করে দিয়েছিল বুলবুল। সেই ক্ষত মেরামত করে এগুলি যখন চাঙ্গা হয়ে ওঠার মতো জায়গায় এসেছিল, ঠিক তখনই আমফানের হামলা। একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ৯০ শতাংশ পর্যটনকেন্দ্রকে, দাবি সেখানকার পরিচালন কর্তাদের।

পর্যটন বিভাগ সূত্রে খবর, বকখালির হেনরি আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, সজনেখালি পর্যটন নিবাস, পাথরপ্রতিমার ভগবৎপুর কুমির প্রকল্প, বনিক্যাম্প, কলসদ্বীপ, গোবর্ধনপুরে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। এগুলি সবই সরকারি সংস্থা। বেসরকারিভাবে মৌসুনি দ্বীপে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর পরিচালনায় ক্যাম্প হাউস রয়েছে। গোসাবার পাখিরালয়, লাহিড়ীপুর, সাতজেলিয়া, লাক্সবাগান, শান্তিপুর ও পাথরপ্রতিমার জি প্লটে বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে। এখন কোনওটিরই কোনও অস্তিত্ব নেই। কোথাও ঘরের ছাদ উড়ে গিয়েছে, কোথাও পুরো পরিকাঠামো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ার জায়গাগুলি এখনও বিদ্যুৎহীন।

মৎস্য দফতরের অধীন বকখালির হেনরি আইল্যান্ডের অর্ধেক গাছ বুলবুল ঝড়ের শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি যা ছিল তা এবার শেষ। পর্যটকদের থাকার জন্য এ, বি এবং সি তিনটি সেক্টরে লজগুলির প্রতিটির মাথার টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। কাচের জানালা ভেঙেছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি একটিও নেই। ১১০০ ভোল্টেজের সংযোগের ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওই আইল্যান্ডের মধ্যে চিংড়ির চাষ হয়। সেই চাষের জন্য কয়েকশো শেডসহ সরঞ্জাম সব উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ জায়গা বিদ্যুৎহীন। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটির উপর বলে জানিয়েছে মৎস্য দফতর। একই অবস্থা ফ্রেজারগঞ্জেও। পর্যটন দফতরের অধীন বকখালি টুরিষ্ট লজে অবশ্য বুলবুলের মতো ক্ষতি হয়নি। তবে উম-পুনের দিন বৃষ্টিতে সামনের ঝাউগাছের জঙ্গল নষ্ট হয়েছে। রায়দিঘি রেঞ্জের বনি ক্যাম্প ও কলস দ্বীপ, ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পের লজ থেকে বনকর্মীদের আবাসন ভেঙে গিয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। সব মিলিয়ে কবে এই ক্ষতি কাটিয়ে ফের দাঁড়ানো যাবে, সেই ব্যাপারে অনিশ্চিয়তায় পর্যটনকেন্দ্রগুলি। কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি তা জানা যাচ্ছে না।

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...