হাইকোর্টের নির্দেশ, খুনের মামলায় ফের তদন্তের মুখে মোহনবাগানকর্তা

অনেকটা রেজওয়ানকাণ্ডের ছায়া।

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মৃতদেহ।
প্রথমে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনা।
পরে দেখা গেল মরদেহে বুলেট।

কেউ হত্যা করেছে এবং দুর্ঘটনার মত সাজিয়ে ফেলে গেছে।

যুবকের নাম জুনিয়র মৃধা।

তদন্তে নামে পুলিশ ও সিআইডি।
দেখা যায়, যুবকটি একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মেয়েটি মোহনবাগানের এক পরিচিত মুখ কর্তার বাড়ির ঘনিষ্ঠ সদস্য।

ঘটনা সাত বছর আগের।
সেই সময়ে সিআইডি কোর্টে এফ আর টি ফাইল করে।
তারা জানিয়ে দেয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। অর্থাৎ কার্যত ক্লিনচিট পান সেই ব্যবসায়ী তথা ফুটবলকর্তা ও তাঁর বাড়ির লোকেরা।

এরপর নিহত যুবকের আত্মীয়রা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
পিটিশন, লড়াই, ডিভিশন বেঞ্চে আপিল চলতে থাকে।

শেষ পর্যন্ত এই লকডাউনের ঠিক আগে হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সিআইডি তদন্তের রিপোর্টকে ছত্রে ছত্রে তুলোধোনা করেছে হাইকোর্ট।
সিবিআইকে বলা হয়েছে ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে।
এখানে হাইকোর্ট বলেছে তদন্ত করলেও ওই ব্যবসায়ী, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি ব্যবসায়ীর পুত্রবধূকে।

সল্টলেক সিজিও সূত্রে খবর, এই লকডাউনের মধ্যেই জেরা চলছে পুত্রবধূর। দুদিন জেরা হয়েছে। মঙ্গলবার আবার ডাকা হয়েছে।

হাইকোর্ট সিআইডির তদন্ত খারিজ করে বলেছে, হত্যা যখন হয়েছে, হত্যাকারীকে খুঁজে বার করাও দরকার।

ফলে মোহনবাগানের অন্যতম সহসভাপতি, ব্যবসায়ী, এক টিভি কোম্পানির মালিকের পরিবার আবার তদন্তের মুখে।

Previous articleপুরুলিয়ায় বালি পাচার রুখতে সরব গ্রামবাসীরা, দেখুন কী করলেন তাঁরা?
Next articleঘূর্ণিঝড় ‘আমান্ডা’র দাপটে মৃত ১৪, নিখোঁজ বহু