Tuesday, May 20, 2025

‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ নিয়ে নানা চাপানউতোর এবং বিতর্ক চলছে বিগত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। অনির্বাণের সহকর্মী স্বাতী ভট্টাচার্য দিন কয়েক আগে কলম ধরেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন অনির্বাণের পদত্যাগ করার বিষয়টি পূর্বনির্ধারিত, ফলে এর সঙ্গে ‘অন্য কিছুর গন্ধ খোঁজা’র চেষ্টা বৃথা। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’ স্বাতীর বক্তব্য হুবহু ছেপেছিল। এবার সেই বিতর্কে ইতি টানতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলম ধরলেন অনির্বাণের স্ত্রী এবং এবিপি গ্রুপের প্রাক্তন কর্মী মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়। একদিকে যেমন তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন এবিপি গ্রুপের বেহিসাবি কর্মী ছাঁটাই অনির্বাণ সমর্থন করেননি, তেমনি এটাও বলেছেন অনির্বাণের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পিছনে কোনও পুলিশি তলব বা ছাঁটাই কারণ হিসাবে বাধা হয়নি। পদত্যাগ ছিল পূর্বনির্ধারিত।

মধুমিতা জানিয়েছেন, হ্যাঁ, অনির্বাণ ছাঁটাইয়ের বিরোধী ছিলেন। ব্যবসায় লাভ অব্যাহত রাখতে সংস্থার ছাঁটাই প্রক্রিয়া মোটেই নীতিগতভাবে সমর্থন করেননি। তাঁর নীতি ছিল, খরচ কমাও। ন্যূনতম বেতন যাতে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করো। প্রয়োজনে যারা উচ্চহারে বেতন পায়, তাদের বেতন বেশি করে কাটো। কিন্তু অন্য কোনও উপার্জনের জায়গা তৈরি না করে চাকরি থেকে হঠাৎ ছাঁটাই করা যথার্থ নয়। এই পরিস্থিতিতে তো নয়ই। এরপরই মধুমিতার মন্তব্য, কিন্তু ব্যক্তিগত নীতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার নীতি মেলে না। কর্মক্ষেত্রে অবশ্য এই ধরণের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। অনির্বাণের অবসর নেওয়ার দিন সাতেক আগে বিষয়টি আবার সামনে আশায় অনেকেই এটা দুয়ে দুয়ে চার করেছেন। আমি বলতে চাই এটা ঠিক নয় অনির্বাণের পদত্যাগ ছিল পূর্বনির্ধারিত। তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষজন অনেক আগে থেকেই জানতেন। আর আনন্দবাজারের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশের সমন সংক্রান্ত বিষয়ে মধুমিতা জানিয়েছেন, অনির্বাণকে একবারের জন্য থানায় যেতে হয়নি, জেরা করা হয়নি কিংবা অন্য কোথাও থেকে চাপও দেওয়া হয়নি।

আসলে অনির্বাণের পদত্যাগকে সামনে রেখে নানা জল্পনা বিভিন্ন মহল পল্লবিত হয়েছে। তাতে জল ঢালতে কখনও সহকর্মী স্বাতী, আবার কখনও স্ত্রী মধুমিতা কলম ধরছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনির্বাণ নিজে লেখক এবং যুক্তিবাদী। পদত্যাগ নিয়ে যখন নানা জল্পনা চলছে, তখন জল্পনায় জল ঢালতে নিজে কেন কলম ধরছেন না! সত্য কিনা জানা নেই, অনির্বাণেরই এক সহকর্মী বললেন, আসলে অবসরের পর তাঁর পুরনো কাগজ, ম্যাগাজিনে লেখার দরজা খুলে রাখতেই সামনে এসে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার রাস্তায় যাচ্ছেন না। এটাকে বলে সিট্যুয়েশনাল অ্যাডজাস্টমেন্ট!

Related articles

সৌভিক, জ্যোতির্ময়ীদের হাতে উদ্বোধন ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের স্পোর্টস মিউজিয়াম

অভিনব উদ্যোগ ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের(CSJC)। শহরের বুকে নয়, এবার জেলাতে স্পোর্টস মিউজিয়াম(Sports Museum)। ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের...

এফডি-তে সুদের হার ফের কমাল এসবিআই!  ক্ষতির মুখে আমানতকারীরা

ফিক্সড ডিপোজিটে (FD) বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধাক্কা। ফের একবার সুদের হার কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। সর্বশেষ...

সরকারি প্রকল্পে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা টাকা ফেরত নেওয়ার উদ্যোগ রাজ্যের 

পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খাতে পড়ে থাকা অব্যবহৃত অর্থ ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া...

এভারেস্ট জয় মনোজ ভার্মার দেহরক্ষী কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্তের! শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

পর্বত আরোহণের নতুন দৃষ্টান্ত গড়লেন পশ্চিমবঙ্গ সশস্ত্র পুলিশের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল (Lakhsmikanta Mandol)। কলকাতার পুলিশ কমিশনার...
Exit mobile version