একসুরে আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার আর্জি বাম-কংগ্রেস-বিজেপির

রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে একসুরে আর্জি এবং অভিযোগ জানাল বাম-কংগ্রেস-বিজেপি।

রাজ্যে আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করতে নবান্নের রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ওই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বলে নবান্ন খবর।
এর আগে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত কয়েকটি ব্লক ঘুরে দেখেন। পরে বিরোধী দল বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং বিজেপি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে তাদের বক্তব্য শোনেন। সেখানে আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণার দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সোমেন মিত্র বলেন, আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হলে সরকারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের ইচ্ছুক ব্যক্তি অথবা সংগঠন দুর্গতদের সাহায্য করতে পারবেন। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, দুর্গত মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ সাহায্য পাঠানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন।পাশাপাশি, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক দলকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। সেখানে দুর্গতদের বাড়ি-ঘর, কৃষিজমি প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করা ছাড়াও, নগদ ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।অন্যদিকে, বাম পরিষদীয় অলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলও কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করে। তাদের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, বাঁধ, চাষের জমি নষ্ট দ্রুত মেরামত ও সংস্কারের আর্জি জানানো হয়েছে। এই দলে সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও মানস মুখোপাধ্যায়, তন্ময় ভট্টাচার্য ছিলেন।
বৈঠকের পর সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরাও। পাশাপাশি ত্রাণ ও ক্ষতি পূরণের টাকা যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছায় তা দেখতে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা তৈরি করারও তাঁরা দাবি জানিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলও কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে নয় ছয় না হয় তা দেখতে তাঁরা অনুরোধ জানিয়েছেন। এজন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কে দিয়ে ক্ষতির সার্ভে করতে এবং বাঁধ তৈরির মতো কাজে কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরদারি রাখতে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাঁরা।

Previous articleদুই হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি! বলিউড প্রযোজকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
Next articleরাজ্যে করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল লাফিয়ে বাড়ল