সোমবার খুলছে মন্দারমণি

সোমবার ৮ জুন থেকেই খুলে যাচ্ছে মন্দারমণি সমুদ্র সৈকত। পাশাপাশি তাজপুরে ১৫ জুন থেকে এবং দিঘা–‌শঙ্করপুর এলাকায় ৩০ জুনের পর হোটেল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় হোটেল সংগঠকরা।

লকডাউনের কারণে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর মন্দারমণিতে পর্যটকদের জন্য খুলেছে হোটেল, লজ ও রিসর্ট। ওই দিন থেকেই অনলাইনে হোটেল বুকিং করা যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় হোটেল মালিক সংগঠন। আর যদি ঘর খালি থাকে তাহলে ‘স্পট বুকিং’ও সম্ভব। এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের হোটেলে রাখার জন্য। করোনার কারণে লকডাউন। আর তাতেই থমকে পড়া শিল্পকে ফের চাঙ্গা করতে হোটেল, রেস্তোরাঁ, লজ, হোমস্টে খোলা যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারের নির্দেশ মেনেই হোটেল, লজ খোলার ব্যাপারে আগ্রহী মন্দারমণির ব্যবসায়ীরা। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে হোটেল, লজকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা, দূরত্ব বজায় রেখে চলা, মাস্ক ব্যবহার করতে বলা ছাড়াও যাবতীয় সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হোটেল মালিক ও কর্মী এবং পর্যটকদের বলা হয়েছে।

শনিবার হোটেল মালিকরা নিজেদের মধ্যে ও প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করেন। তারপর হোটেল খোলার কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন মন্দারমণি কোস্টাল থানা, স্থানীয় কালিন্দী পঞ্চায়েত এবং রামনগর–‌২ ব্লক প্রশাসনের কাছে হোটেল খোলার জন্য পরিকাঠামোগত সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানান মন্দারমণি বিচ হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের তরফে সম্পূর্ণ সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রামনগর–‌২ ব্লকের বিডিও অর্ঘ ঘোষ। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সুজন দত্ত বলেন, ‘‌উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হোটেল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’‌ মন্দারমণিতে হোটেলে থাকার জন্য পর্যটকদের ওপর সরকারি বিধি নিষেধ লাগু করা হয়েছে। পর্যটকদের করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। পর্যটকদের জ্বর–সর্দি থাকলে অবশ্য অগ্রিম বুকিং থাকলেও ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Previous articleকরোনা’র ‘ভালো’ দিক !
Next article“পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনের দাম নেই?”- কাদের কটাক্ষ করলেন দেব!