মর্মান্তিক, বে-নজির !

শুধু বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি৷ পাঁচ-পাঁচটি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হতে গিয়েছিলেন৷ সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে৷ বাঁচার মরিয়া চেষ্টায় তখন তিনি দ্বারস্থ হন দিল্লি হাইকোর্টের।

কিন্তু সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এই মামলার শুনানি শুরুর কিছুক্ষণ আগে পৃথিবীর মায়া কাটালেন
করোনা আক্রান্ত ৮১ বছরের ওই বৃদ্ধ৷ এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো দিল্লি হাইকোর্ট।

করোনা’য় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ৷ তাঁর যেখানে চিকিৎসা চলছিল, সেই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামোই নেই। তাই সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এইমস থেকে শুরু করে দিল্লির ম্যাক্স, রাজীব গান্ধী হাসপাতাল, গঙ্গারাম হাসপাতাল ও অ্যাপোলো হাসপাতালেও ভর্তির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু কোনও হাসপাতালে সাড়া দেয়নি বৃদ্ধের এই আর্জিতে৷ নিরুপায় হয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। আর্জি ছিল একটিই, যেখানে তিনি ভর্তি, সেখানে করোনা চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই, অথচ বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়া হচ্ছে। দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলোর জন্য বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিক দিল্লি হাইকোর্ট৷

সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে দিল্লি হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি৷ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বিচারপতি নবীন চাওলাকে চমকে দিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী আরপিএস ভাট্টি জানান, মামলা ফিরিয়ে নিতে চাই৷ তাঁর হতদরিদ্র মক্কেলের আর চিকিৎসার প্রয়োজন নেই৷ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ আইনজীবীর কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান বিচারপতি৷ কয়েক মিনিট পর বিচারপতি চাওলা মামলাটি খারিজ করার কথা জানান।
