নোনা জলে চাপা পড়েছে ভবিষ্যত! ত্রাণের আশায় বারোশোল

পিয়াল গুহ বন্দ্যোপাধ্যায়

এমনিতেই সারাবছর নোনাজল। মাঝে মাঝে যখন প্লাবন হয় তখন ফসল যায় নষ্ট হয়ে। কিন্তু তার মধ্যেও বাদাবনে সোনার ফসল ফলানোর চেষ্টা করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনি দ্বীপের বারোশোলের বাসিন্দারা। কিন্তু এবার আমফান কেড়ে নিয়েছে সব আশা। সুপার সাইক্লোন আর বৃষ্টির দাপটে জমিতে পড়েছে পুরো নোনা মাটির আস্তরণ। অদ্ভুত ভাবে ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পরে সবুজ গাছের পাতা হয়েছে হলুদ, তামাটে। মনে হচ্ছে যেন দাবানলে ঝলসে গিয়েছে সব।

নিষ্প্রাণ সেই জমি আর বিবর্ণ গাছের দিকে তাকিয়ে হতাশায় ডুবে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা এ জমিতে ফসল ফলানো যাবে না। চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করা যাবে না অন্তত আগামী তিন বছর।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ধুলিস্যাৎ ভিটেমাটি। কোনরকমে আশ্রয় হয়েছে অন্যের বাড়িতে। ইট আর মাটির স্তুপের মাঝখান থেকে এখন চলছে জীবন খোঁজার চেষ্টা। কোনরকমে যদি বাড়িটা মেরামত করে নেওয়া যায়। সামনেই বর্ষা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁদের পর্যন্ত নাকি ত্রাণ পৌঁছয়নি। তাঁদের এখন টিউবয়েল দরকার পানীয় জলের জন্য। ত্রিপল চাই। কোনও রোজগার নেই। তাই সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বারোশোলের বাসিন্দারা।

কীভাবে ভবিষ্যৎ চলবে জানা নেই। বাঁধ মেরামতের প্রয়োজন অবিলম্বে। জোয়ার এলেই ফের জল ঢুকেছে জমিতে। নোনা জলের তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে সব আশা। কবে ফিরবে সুদিন? ভেঙে পড়া ভিটে হাতড়ে সে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Previous article‘বাঘবিধবা’ সমাপ্তি খণ্ড
Next articleউত্তরবঙ্গে আজ ভারী বৃষ্টি, রাজ্যে বর্ষা ঢোকার কাউন্টডাউন শুরু