Monday, August 25, 2025

করোনাভাইরাস আঘাত না হানলে এতদিনে কলকাতা-সহ শতাধিক পুরসভার নির্বাচন মিটে যেত৷ শাসক-বিরোধী দু’তরফই এখন পাখির চোখ করতো ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে৷

তা হয়নি৷ পুরভোট কবে হবে জানা নেই৷ ওদিকে, ভোট নিয়ে একাধিক জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে৷ দুই ভোট একসঙ্গে সেরে ফেলা, আগে পুরসভা পরে বিধানসভা, আগে বিধানসভা পরে পুরসভা, ভোট নিয়ে এ জাতীয় নানারকম কথা ভেসে বেড়াচ্ছে৷

বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির অনেকেই চাইছে, আগে পুরভোট হোক, তারপর হোক বিধানসভার ভোট৷ এতে বাংলার ‘আওয়াজ’ মেপে নেওয়া যাবে৷ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল সাজাতে সুবিধা হবে বলে তারা মনে করছে৷

তবে এমন নাও হতে পারে৷ রাজ্যে এখনও তুঙ্গে সংক্রমণ৷ করোনার ধাক্কা কমলেও সামাজিক দূরত্ব বিধি-সহ অন্যান্য একাধিক সতর্কতামূলক প্রক্রিয়া আগামী বহুদিন চালু থাকবে৷ স্বাভাবিক ও চালু পদ্ধতিতে ভোটের প্রচার সেক্ষেত্রে অসম্ভব৷ চালু করতে হবে নতুন কোনও উপায়৷ সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে ভোটে যাওয়া যথেষ্টই সমস্যাজনক৷ তার উপর পরপর দু’টি ভোট৷

জুন মাস চলছে৷ রাজ্যে খুব দ্রুত ভোটের পরিবেশ ফিরে আসতেও কমপক্ষে দেড়-দু’মাস৷ আগস্ট- সেপ্টেম্বরে শতাধিক পুরসভার ভোট হলে, নতুন বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া মিটতে আরও ২-৩ সপ্তাহ ৷ ততদিনে চলে আসবে পুজো৷ ওদিকে বিধানসভার ভোটের সময়ও চলে আসবে৷
পুরভোট শেষ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভার ভোটে ঝাঁপানো, দলগুলির পক্ষে যথেষ্টই চাপের বিষয়৷

তাই ভাবনা চলছে আগে বিধানসভা ভোট সেরে তারপর বকেয়া পুরভোট করা নিয়ে৷ মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে ইতিমধ্যেই আইনি পথে প্রশাসক বসিয়ে ‘রেগুলারাইজ’ করা হয়েছে৷ এই পদ্ধতিতে এক বছর কাজ চালাতেই পারে পুরসভাগুলি৷ তাই আগে বিধানসভা ভোট করে ফেলা যায় সহজেই৷

রাজনৈতিক মহলের খবর, বিজেপি চায় পুরভোট আগে হোক৷ রাজ্যে বেশ কিছু পুরসভা এবার তাদের হাতে আসবে বলেই পদ্ম শিবির আশাবাদী ৷ আর সেই ফলের প্রভাব পড়বে বিধানসভা ভোটে৷ তাদের প্রচারের হাতিয়ার হবে ওই সব ফল, এমন ভেবেই ঘর গোছানোর কাজ চালাচ্ছে বিজেপি৷ পাশাপাশি এমনও ভাবছে, পুরভোটে যে সব সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কাউন্সিলরদের তৃণমূল প্রার্থী করবে না, তাঁদের দলে টেনে, প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবিরে ফাটল লাগানো যাবে৷

এই ছকেই কিন্তু ঠাণ্ডা জল পড়তে পারে৷ বিধানসভা ভোটে আগে হলে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে পারে বিজেপি৷ দল ভাঙানোর ছক কাজে আসবেনা৷ বিধানসভা ভোটে পরিকাঠামো সাজানোই আছে তৃণমূলের ৷ এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েই আছে বিজেপি৷ বিধানসভা ভোটে পরাস্ত করলে বিজেপি’র মনোবল ভেঙে যাবে৷ ‘আশাহত’ হয়ে দল ছন্নছাড়া হবে৷ পুরভোটে আর গেরুয়া শিবির সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারবে না বলেই ধারনা করছে শাসক শিবির৷ এ পথে অগ্রসর হলে দু’টি ভোটেই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে পারবে৷

এই সব কারনেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বাংলায় আগে হবে বিধানসভা নির্বাচন, তার পরে হবে বকেয়া পুরভোট৷

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version