কম দামে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন? সেরামের পর উদ্যোগ প্যানাসিয়ার

করোনা প্রতিষেধক তৈরি করতে উদ্যোগী হল ভারতের আরও এক সংস্থা। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রতিষেধক তৈরির কাজে এগিয়ে এল ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ ফার্ম প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড। প্যানাসিয়ার সঙ্গে এই কাজে যুক্ত হয়েছে মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি রেফানা।

প্যানসিয়া সূত্রে খবর, সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ইনঅ্যাক্টিভেটেড কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ জৈন জানান,
প্রতিষেধক তৈরির এই পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ। পাশাপাশি রোগীর শরীরে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। সংস্থার পাশে রয়েছে রেফানা। জানা গিয়েছে আগামী বছরের শুরুতে প্রতিষেধক মিলবে ভারতের বাজারে। মার্কিন সংস্থার হাত ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পাঠানো হবে প্রতিষেধক।

গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি ভাইরাস কি সম্পূর্ণভাবে প্রতিষেধক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় না। ভাইরাসকে প্রথমে দুর্বল করা হয় তারপর ভ্যাকসিন বা ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরির কাজে লাগানো হয়। তবে প্যানাসিয়ার গবেষকদের প্রতিষেধক তৈরির পদ্ধতি একেবারেই ভিন্ন। জানা গিয়েছে, সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের সারফেস প্রোটিন বা স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে পিউরিফাই করার পরেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। এই পিউরিফাইড ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ সরাতে পারবে না। রোগীর শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন সক্রিয় হতে পারবে না।

ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ ফার্ম প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড মোট ৫০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করবে। মানবদেহে ভ্যাকসিনের সফল হলেই আগামী বছরের শুরুতে বাজারে মিলবে এই ভ্যাকসিন। প্রাথমিকভাবে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন রাজেশ জৈন।

Previous articleযারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে তারা গড়বে সোনার বাংলা? বিজেপিকে পার্থর কটাক্ষ
Next articleঅভিভাবকরা ভাবুন: কী বলছেন শমিত রায়?