ফের মৃতদেহ গুলিয়ে ফেলল হাসপাতাল। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী হাসপাতলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঘটল এই ঘটনা। আর তার ফলে মৃত যুবকের দেহ কবর দিল অন্য এক পরিবার। মৃত ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে নিজেদের ছেলের মৃতদেহ তাঁরা খুঁজেচেন।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের একমাত্র সরকারি কোভিড ১৯ হাসপাতাল রাজীব গান্ধী হাসপাতালে।

যুবকের পরিবার জানিয়েছে, গত রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় যুবককে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসাপাতালের তরফে জানানো হয়, যুবককে ভেন্টিলেশনে দিতে হবে। তার জন্য প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হবে। টাকা না থাকলেও তাতে রাজি হয়ে যায় পরিবার।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাসপাতালের তরফে যুবকের পরিবারকে বলা হয়, যুবককে রাজীব গান্ধী হাসপাতাল অর্থাৎ কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। যুবকের বাবার অভিযোগ, ছেলের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তাহলে কেন ওকে কোভিড ১৯ স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হল জানি না।

এদিকে পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাজীব গান্ধী হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাঁর দেহ পরিবারকে তুলে দেওয়া যাচ্ছিল না। যুবকের দাদা জানিয়েছেন, “আমাদের ১৩টি দেহ দেখানো হয়। কিন্তু একটিও আমার ভাইয়ের ছিল না।”
এরপর বাধ্য হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠায় ওই পরিবার। সেই বার্তাই তাঁরা বলেন, পরিবারের ছেলের শেষকৃত্যটুকু তাঁরা করতে চান। তাই যেন দয়া করে তাঁদের ছেলের দেহ খুঁজে দেওয়া হয়। এরপরই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরিবারের অভিযোগ, এখন তাঁদের বলা হচ্ছে ওই যুবকের দেহ অন্য একটি পরিবার কবর দিয়ে দিয়েছে। যুবকের দাদা জানিয়েছেন, “তদন্তের সময় স্থানীয় পুলিশ আমাদের জানায়, আমার ভাইয়ের দেহ অন্য একটি পরিবারের হতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১০ জুন তাঁকে কবরও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ওই পরিবারের ছেলের মৃত্যু হওয়ার পর ভুল করে আমার ভাইয়ের দেহ তাঁদের হতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে রাজীব গান্ধী হাসপাতালে দ্বিতীয়বার এই ধরনের ঘটনা ঘটল। তিন দিন আগে শেষকৃত্য করার সময় এক মহিলা লক্ষ্য করেন, যে দেহটি আনা হয়েছে তা তাঁর স্বামীর নয়। পর পর এই ঘটনা ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালে দায়িত্ব নিয়ে।
