সেই মার্চ মাসে বন্ধ হয়েছে দরজা। তারপর ওমুখো কেউ হননি আর। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সবার ক্ষেত্রেই একই চিত্র দেখা দিয়েছে। কেউ বাড়িতে বসেই চুল কেটেছেন। কেউ আবার একেবারেই ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর তাই কোচবিহার জেলার একাধিক সেলুন খোলার সিদ্ধান্ত নিল ক্ষৌরকার উন্নয়ন পরিষদ।
লকডাউনের জেরে আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন সেলুন মালিকরা। সেলুন খোলা হলেও বেশ কিছু সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল ডিসটেন্স অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব মেনে সেলুনে প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যারা কাজ করবেন তাঁদের প্রত্যেকের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা আবশ্যক। প্রতিবার যন্ত্র সামগ্রী ব্যবহারের পরে তাকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি যেমন কাঁচি, খুর ব্যবহার করা ভালো। প্রথম দিন দোকান খুলে বেশ কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন সেলুন মালিকরা। তাঁরা বলেন, “দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। বাধ্য হয়েই আমরা সেলুন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যথেষ্ট সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা হবে।”