কুড়িটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাদাখের পরিস্থিতি এবং পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে এদিন সর্বদল বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। চিনা সেনারা কবে এসেছিল? কীভাবে হামলা হয়েছে? সরকার কী করেছে- সব সব বিষয় বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের জানান রাজনাথ। এরপরে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের কার্যকরী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, আগেই যখন জানা ছিল চিনা সেনারা সীমান্তে গতিবিধি বাড়িয়েছে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। যখন মে মাসে জানা যায় চিন তাদের সেনাবাহিনীকে এগিয়ে দিচ্ছে তখন দু’দেশের মধ্যে যদি কূটনৈতিক আলোচনা করা যেত, তাহলে হয়তো আমরা কুড়ি জন জওয়ানকে হারাতাম না।

সোনিয়া প্রশ্ন তোলেন এটা কি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? তারা আগে জানাতে পারেনি যে চিন সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে? সোনিয়া গান্ধী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন চিনারা চলে আসার পরে আমরা জানতে পারলাম? যে জমিটা চিনারা কব্জা করে রেখেছে, সেটা কিভাবে ফেরত নেওয়া যাবে? সোনিয়ার প্রশ্ন, যদি কোনও জরুরিঅবস্থা দেখা যায়, তাহলে ভারতের কি প্রস্তুতি রয়েছে? তবে, শেষে তিনি জানান, কংগ্রেস পুরোপুরি কেন্দ্রের পাশে রয়েছে। এ ধরনের সর্বদল বৈঠক সবসময় স্বাগত।
বৈঠকে শরদ পাওয়ার প্রশ্ন তোলেন, কেন খালি হাতে গিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা? একই বিষয়ে আগেই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
লাদাখ নিয়ে পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বদল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রয়েছেন ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিজেপি-র তরফে সভাপতি জে পি নাড্ডাও। কুড়িটি বিরোধীদলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন সনিয়া গান্ধী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, এম কে স্ট্যালিন, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, হেমন্ত সোরেনরা। তবে বৈঠকে আম আদমি পার্টি, আরজেডি, জেএমএম, টিডিপি-র প্রতিনিধিরা ছিলেন না।
