বেসরকারি হাসপাতালে কড়া নজরদারি,পুর- কোঅর্ডিনেটরদের বিশেষ দায়িত্ব

স্বাস্থ্য ভবনে প্রথম থেকেই অভিযোগ জমা পড়ছে, ‘সাম্প্রতিক মহামারি’-র চিকিৎসায় মাত্রা ছাড়া বিল করছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে বারবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে একাধিকবার সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তবুও অভিযোগ আসছে৷ নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে৷

এবার আর অনুরোধ নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলির এ ধরনের কাজে সরাসরি নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করলো কলকাতা পুরসভা৷ নিজস্ব পরিকাঠামোর সাহায্যে এই নজরদারি চালাবে পুরসভা। এই নজরদারিতে কোথাও ফের অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্বাস্থ্য ভবনে আইনমাফিক কড়া ব্যবস্থার সুপারিশ করবে কলকাতা পুরসভা।

জানা গিয়েছে, পুরসভা কলকাতার সব ‘বরো কোঅর্ডিনেটর’-দের এ বিষয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। এই ‘বরো- কোঅর্ডিনেটর’-রা আগে বরো-চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ পেলে তা সরাসরি স্বাস্থ্যভবনে জানাতে। অভিযোগ পেলে, এই বরো-কোঅর্ডিনেটররাই বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিল পরীক্ষা করবেন, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যভবনের রেগুলেটরি কমিটির কাছে শাস্তির প্রস্তাব করে পাঠাবেন। এরপর স্বাস্থ্যভবনই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোনও রোগী অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাসপাতাল থেকে শরীরে ‘সাম্প্রতিক মহামারি’-র ভাইরাস প্রবেশ করলে তার দায় ওই হাসপাতালকেই নিতে হবে৷ অন্য অসুস্থতার সঙ্গে ওই রোগীর ‘মহামারি সংক্রান্ত’ চিকিৎসাও ওই হাসপাতালেরই বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে করা উচিত বলে জানিয়েছে পুরসভার।

Previous articleটানা ১৫ দিন দাম বৃদ্ধি পেট্রোল, ডিজেলের
Next articleমেঘলা আকাশ? মন খারাপ নয়! এক ক্লিকেই ঘরে বসে দেখুন সূর্যগ্রহণ