Tuesday, December 16, 2025

শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি করছেন অপদার্থ দিলীপ ঘোষ! কড়া নিন্দা সুজনের

Date:

“বদলা-বদল” তত্ত্বে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শ্রীকৃষ্ণের যুদ্ধ এবং তার সঙ্গে হিংসার রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলে যে মন্তব্য করেছেন, এবার সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন সুজন চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ যদি শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি এবং নিজের অপদার্থতাকে ঢাকবার চেষ্টা করেন, তাহলে এর চাইতে লজ্জাজনক কিছু হয় না। এতটা নিজেকে নিয়ে ভাবাটা মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ।”

তিনি আরও বলেন, এর আগে একটি দল পশ্চিমবাংলায় বদলা চাই না বদল চাই বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তারা বদলার রাজনীতি করেছে। এখনও করছে। বদলার সেই বাহিনী আগে ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এখন সেই বাহিনী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। যারা বদলা নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখন দিলীপ ঘোষ বদলার কথা বলছেন।

সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, বদলা বদল নয়, মানুষের ভরসাই সবচেয়ে বড় জিনিস। এবং তৃণমূল-বিজেপিরা নয়, বামপন্থীরাই মানুষের ভরসা নিয়ে চলবে। তাঁর দাবি, সমাজ-বিজ্ঞান-যুক্তি’ এগুলো তৃণমূল-বিজেপির কাছ থেকে আশা করা যায় না।

এ ব্যাপারে বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুজন। তিনি বলেন, সারা পশ্চিমবাংলায় হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল ও সারা ত্রিপুরাতে হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে বিজেপি। যে পথে তৃণমূল, সেই একই পথে বিজেপি। আবার যে পথে বিজেপি, সেই একই পথে তৃণমূল। আর ভিন্ন পথে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বামপন্থা।

চিনা দ্রব্য বয়কটের জন্য দিকে দিকে সংঘটিত বিক্ষোভের প্রসঙ্গে এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির নেতারা চিনা দ্রব্য বয়কট বলে বাজার গরম করছে। কে, কার ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে তালিকা করছে। আমি বলছি, অযথা এই কাজের মধ্যে যাচ্ছেন কেন, যদি চিনা দ্রব্য থাকলে ঠ্যাং ভাঙতে হয় তাহলে বিজেপির সব নেতার ঠ্যাং নিজেদেরই ভাঙতে হবে। এমনকি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের যে মূর্তি সেটাও চিনা কোম্পানির তৈরি। হিম্মত আছে তো সেটা ভাঙার?”

এরপরই সুজন বলেন, বাংলা বা ভারতবর্ষের মানুষ চিন দেশে গিয়ে চিনের জিনিস কিনে আনছে না। চিন দেশের জিনিস ভারতে আসছে। তবেই মানুষ কিনছে। আর এই আসা বা না আসাটা নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।

পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, চিন ও আমেরিকার দ্রব্যে দেশীয় শিল্পের বারোটা বেজে গেছে। তাই কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বা অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের।

সুজন বলেন, বিজেপির যে নেতারা রাস্তায় বলছেন বয়কট, সেটা রাস্তায় না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে হবে। যেন উনি বিদেশী দ্রব্য আনার ক্ষেত্রে আটক করেন ও কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসান। এর ফলে দেশীয় শিল্প, দেশীয় বাজার বাঁচবে ও দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থান হবে।

Related articles

ফিরে এলেন ১১ জন মৎস্যজীবী, এখনও নিখোঁজ ৫ জন

নামখানায় ফিরে এলেন দুর্ঘটনার শিকার হওয়া (Fishermen Rescue) ট্রলারের ১১ জন মৎস্যজীবী। তবে এখনও নিখোঁজ পাঁচজন। কাকদ্বীপে ভারতের...

এসআইআরের পর বঙ্গে প্রকাশিত ভোটারদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া তালিকা

রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কাজ শেষ, সুচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত হল ভোটারদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া তালিকা (Draft Voter list)।...

যুবভারতী কাণ্ডে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ, ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের সুপারিশ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuvabharati Stadium Incident) মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যে বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয় তার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...

মঙ্গলের ভোরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে একের পর এক বাস-গাড়ির সংঘর্ষ, মৃত অন্তত ৪

মঙ্গলবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সকালের আলো ভালো করে ফোটার আগেই রাত ভোর ৪টে নাগাদ...
Exit mobile version