Monday, November 10, 2025

শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি করছেন অপদার্থ দিলীপ ঘোষ! কড়া নিন্দা সুজনের

Date:

“বদলা-বদল” তত্ত্বে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শ্রীকৃষ্ণের যুদ্ধ এবং তার সঙ্গে হিংসার রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলে যে মন্তব্য করেছেন, এবার সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন সুজন চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ যদি শ্রীকৃষ্ণকে টেনে এনে নোংরা রাজনীতি এবং নিজের অপদার্থতাকে ঢাকবার চেষ্টা করেন, তাহলে এর চাইতে লজ্জাজনক কিছু হয় না। এতটা নিজেকে নিয়ে ভাবাটা মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ।”

তিনি আরও বলেন, এর আগে একটি দল পশ্চিমবাংলায় বদলা চাই না বদল চাই বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তারা বদলার রাজনীতি করেছে। এখনও করছে। বদলার সেই বাহিনী আগে ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এখন সেই বাহিনী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। যারা বদলা নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে এখন দিলীপ ঘোষ বদলার কথা বলছেন।

সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, বদলা বদল নয়, মানুষের ভরসাই সবচেয়ে বড় জিনিস। এবং তৃণমূল-বিজেপিরা নয়, বামপন্থীরাই মানুষের ভরসা নিয়ে চলবে। তাঁর দাবি, সমাজ-বিজ্ঞান-যুক্তি’ এগুলো তৃণমূল-বিজেপির কাছ থেকে আশা করা যায় না।

এ ব্যাপারে বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুজন। তিনি বলেন, সারা পশ্চিমবাংলায় হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল ও সারা ত্রিপুরাতে হিংসার রাজত্ব তৈরি করেছে বিজেপি। যে পথে তৃণমূল, সেই একই পথে বিজেপি। আবার যে পথে বিজেপি, সেই একই পথে তৃণমূল। আর ভিন্ন পথে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বামপন্থা।

চিনা দ্রব্য বয়কটের জন্য দিকে দিকে সংঘটিত বিক্ষোভের প্রসঙ্গে এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির নেতারা চিনা দ্রব্য বয়কট বলে বাজার গরম করছে। কে, কার ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে তালিকা করছে। আমি বলছি, অযথা এই কাজের মধ্যে যাচ্ছেন কেন, যদি চিনা দ্রব্য থাকলে ঠ্যাং ভাঙতে হয় তাহলে বিজেপির সব নেতার ঠ্যাং নিজেদেরই ভাঙতে হবে। এমনকি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের যে মূর্তি সেটাও চিনা কোম্পানির তৈরি। হিম্মত আছে তো সেটা ভাঙার?”

এরপরই সুজন বলেন, বাংলা বা ভারতবর্ষের মানুষ চিন দেশে গিয়ে চিনের জিনিস কিনে আনছে না। চিন দেশের জিনিস ভারতে আসছে। তবেই মানুষ কিনছে। আর এই আসা বা না আসাটা নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর।

পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, চিন ও আমেরিকার দ্রব্যে দেশীয় শিল্পের বারোটা বেজে গেছে। তাই কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বা অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের।

সুজন বলেন, বিজেপির যে নেতারা রাস্তায় বলছেন বয়কট, সেটা রাস্তায় না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে হবে। যেন উনি বিদেশী দ্রব্য আনার ক্ষেত্রে আটক করেন ও কাস্টমস ডিউটি ২০০% চিন ও আমেরিকার দ্রব্যের ওপর বসান। এর ফলে দেশীয় শিল্প, দেশীয় বাজার বাঁচবে ও দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থান হবে।

Related articles

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, বন্যা–ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার প্রশাসনের...

রাজ্যের গ্রামে পৌঁছচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে চালু ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট

রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণ...

সব মামলায় জামিন, সাড়ে তিনবছর পরে জেলমুক্তি ঘটতে চলছে পার্থর

অবশেষে সব মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার বিকেলে বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁর...

জাতীয় দলে শামির পক্ষেই সওয়াল সৌরভের, ইডেনে পিচ পরিদর্শন গম্ভীরের

কয়েকদিন পরই  ইডেনে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট(IND vs SA Test)। ইতিমধ্যেই দুই দল কলকাতায় চলে এসেছে। সোমবার...
Exit mobile version