বিগ্রহ থাকল মন্দিরে, মাহেশে নারায়ণশিলা মাসির বাড়ি নিয়ে গেলেন সাংসদ কল্যাণ

৬২৪ বছরে প্রথমবার মাহেশে জগন্নাথদেবের রথের চাকা রাজপথে গড়াল না। প্রশাসনের নির্দেশে সকাল থেকে ঐতিহাসিক মাহেশে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মন্দিরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হল। ভোরবেলা মঙ্গলারতির পর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে মন্দিরের চাতালে বের করে রাখা হয়। চলতে থাকে সীমিত সংখ্যক ভক্তদের নিয়ে পূজা-অর্চনা। সামাজিক দূরত্ব মেনে যখন মন্দিরের মধ্যে পূজা-অর্চনা হচ্ছিল, তখন মন্দিরের বাইরে দর্শনার্থী “জয় জগন্নাথ’ ধ্বনি তোলেন।

জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এই তিনজনকে মন্দিরের একটি কক্ষে মাসির বাড়ি করে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী আটদিন সেখানেই চলবে তাঁদের পুজো। অন্যদিকে মন্দিরের নারায়ণ শিলাকে সিংহাসনে করে নিয়ে যাওয়া হয় মাসির বাড়ি।
জগন্নাথ বাড়ি থেকে সেই নারায়ণ শিলা গ্রহণ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নারায়ণ শিলাকে নিয়ে রথের চারদিকে প্রদক্ষিণ করা হয়। এরপর তিন কিলোমিটার দূরবর্তী মাসির বাড়িতে হেঁটেই যাওয়া হয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সীমিত সংখ্যক ভক্ত ছিলেন। এই সময় জি টি রোডের দুধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন অগণিত ভক্ত।
উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, কাঁসরঘণ্টা , খোল, করতালে বাজানো হয়। তারপরই নারায়ণ শিলাকে স্থাপন করা হয় মাসির বাড়িতে। সেখানেই আটদিন পূজিত হবেন এই নারয়ণ শিলা। উল্টো রথের দিন আবার মূল মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হবে। এবছর এই ভাবেই পালিত হল ঐতিহাসিক মাহেশের রথযাত্রা।

Previous articleসেনাদের কীভাবে সম্মান জানাতে হয় ভারতের কাছে শিখুক সরকার, ক্ষোভপ্রকাশ চিনা নেটিজেনদের
Next articleসেই ‘এক ফোনে এক লাখ’ ক্যুইজের নেপথ্যকাহিনি