করোনা সন্দেহে গোটা পরিবারকেই যেতে হয়েছিল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে, ফিরে দেখলেন সর্বস্ব লুট!

করোনা সন্দেহে সরকারি নির্দেশ মেনে গোটা পরিবারকেই যেতে হয়েছিল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মাথায় হাত আদক পরিবারের। যেমনটা জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার নোদাখালি থানার অন্তর্গত বাওয়ালি বড় পোল, আদক পাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর আদক, পেশায় গাড়ির চালক। মুম্বই থেকে যাত্রী নিয়ে গত ১২ জুন কলকাতায় আসার পরের দিন থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন।

করোনা সন্দেহে তাঁকে মুচিশা লক্ষ্মী বালা দত্ত গ্রামীন হাসপাতাল থেকে কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৫ তারিখ তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই শুভঙ্করের পরিবারের বাকি ১৪ জন সদস্যকে বিড়লাপুরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চায়, বাড়ির নিরাপত্তার কথা ভেবে। কিন্তু নোদাখালি থানার পক্ষ থেকে বাড়ির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে আদক পরিবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে রাজি হয়।

আদক পরিবারের সেই ১৪ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে, তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে তাঁদের মাথায় হাত।

তাঁরা দেখেন, পরিবারের প্রায় সবকটি ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙে আলমারির যাবতীয় জিনিস তছনছ অবস্থায় পড়ে আছে। পরিবার সূত্রে দাবি, আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার নগদ ও গয়না চুরি গিয়েছে। নোদাখালি থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Previous articleখতম বুরহান, মুসা সহ হিজবুল নেতা, ৩১ বছর পর জঙ্গিমুক্ত ত্রাল
Next articleBreaking: মুখ্যসচিবের মেয়াদ বাড়ছে, বঞ্চিত আলাপন?