*মন্ত্রিসভা এবং দলে বৃহত্তম রদবদলে মোদি! রাজধানীতে তুমুল জল্পনা*

দিনকয়েকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবং শাসক বিজেপি দলের শীর্ষস্তরে ইদানিং কালের বৃহত্তম রদবদল হতে চলেছে৷ অনেকদিন ধরেই এ ধরনের জল্পনা চলছিলো, এখন আর তা ফেলে রাখতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷

দিল্লির নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, প্রথমে দলে বড় ধরনের পরিবর্তন করার পরই রদবদল হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ৷

অসমর্থিত সূত্রে আপাতত শোনা যাচ্ছে :

◾ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কয়েক জন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে সরকারি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে নিয়ে আসা হচ্ছে৷

◾আসন্ন বিহার নির্বাচনকে মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হতে পারে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। তিনি বিহারের ভূমিপুত্র। বিহার বিজেপি’র সাংগঠনিক শীর্ষে বসানো হতে পারে
বর্তমান আইনমন্ত্রীকে৷ পরিস্থিতি অনুসারে ঠিক করা হবে রবিশঙ্কর প্রসাদ-কে বিহার বিজেপি’র ‘মুখ’ করা হবে কি’না৷

◾চিন-সীমান্তের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের ভূমিকায় কার্যত ‘হতাশ’ প্রধানমন্ত্রী৷ এই দুই মন্ত্রকে পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত৷

◾যে প্রত্যাশায় অর্থমন্ত্রী পদে নির্মলা সীতারমনকে আনা হয়েছিলো, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি৷
দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে নির্মলাকে সরানো হতে পারে পদ থেকে। এবার তিনি সরছেন৷ সম্ভবত অর্থমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন শিল্প-বাণিজ্য ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল৷

◾দল ও মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনকয়েক আগে কথা বলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে৷ সেই বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও৷
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে
একে একে তলব করা হয়েছিলো একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে৷ অতীতে প্রধানমন্ত্রী বহুবার বলেছেন, পারফরম্যান্স-ই শেষ কথা৷ ঠিক মতো কাজ না করতে পারলে, সরতে হবে৷ জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে এক এক করে হেভিওয়েট মন্ত্রীদের ডেকে এ কথাই ফের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

রাজধানীর ক্ষমতার অলিন্দে এখন তুমুল জল্পনা চলছে দুটি নাম নিয়ে৷ প্রথম নাম, অমিত শাহ এবং দ্বিতীয় নাম
নীতিন গড়কড়ি৷ জানা গিয়েছে, আগামী রদবদলে প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী হতে চলেছেন শাহ – গড়কড়ি৷ শোনা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক্তিয়ারের বদল ঘটানো হচ্ছে৷ সীমান্তে চিন, পাকিস্তান, নেপাল- সহ নানা ফ্রন্টেই উত্তেজনা বাড়ছে৷ সীমান্তের উত্তেজনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবেই জড়িত দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি৷ এই দুই মন্ত্রক আলাদা হাতে থাকলে কো-অর্ডিনেশনের অভাবে সিদ্ধান্ত নিতে অহেতুক সময় নষ্ট হয়৷ সে কারনেই অন্যরকম কিছু ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ আর সেই দুই বড় দায়িত্বই না’কি পেতে চলেছেন অমিত শাহ এবং
নীতিন গড়কড়ি৷

Previous article‘গায়ের রং কালো’ অক্ষয়ের ঠাট্টায় অভিমানে বলিউড ছেড়েছেন এই অভিনেত্রী!
Next articleসোশ্যাল মিডিয়ায় হিট গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার