অতিমারির সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করা এক যোদ্ধাকে বিরল সম্মান।

সংক্রমণ মোকাবিলায় বীরভূম জেলা পুলিশের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে বিশ্বভারতীর সাপ্তাহিক উপাসনায় আচার্য পদে বসেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায়কে।

সাদা শাড়িতে আচার্যের আসনে বসে টানা এক ঘণ্টা ধরে উপাসনা পরিচালনা করেন তিনি। অতিথি আসনে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।এ দিনের উপাসনায় মহামারি- যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে উপাচার্য বলেছেন, “যোদ্ধা হিসেবে সমস্ত পুলিশ পরিবারকে সম্মানিত করতেই আচার্য পদে এক পুলিশ আধিকারিকের মাধ্যমেই আমরা সকলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”
উপাসনার আচার্য শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে বর্ষা নিয়ে কবির অনুভূতি পাঠ করে শোনান। তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহ শেষে বর্ষার জলে যেমন আবার বীজ থেকে প্রাণের সঞ্চার হয় তেমনই আমরাও এই অতিমারির লড়াইতে জয়ী হব।’

লকডাউনে প্রায় ৩ মাস বন্ধ থাকার পরে নতুন করে উপাসনা শুরুর সময় থেকেই সংক্রমণ ও লকডাউন পরিস্থিতিতে যাঁরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন, তাঁদের সম্মানিত করছে বিশ্বভারতী। কিছুদিন আগে পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্তকেও সাম্মানিক আচার্য পদে বসানো হয়েছিল। তবে এই প্রথম কোনও পুলিশ আধিকারিককে উপাসনার আচার্য হিসেবে স্বীকৃতি দিল বিশ্বভারতী। পড়ুয়া, প্রাক্তনী বা আশ্রমিক, সবাই এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, টানা ৪ মাস যাঁরা কোনও রকম ছুটি না নিয়ে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন, তাঁদের প্রতি এই সম্মান প্রদর্শন বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যকে আরও গৌরবময় করবে। এ দিনের উপাসনার আচার্য, শান্তিনিকেতন থানার ওসি বলছেন, “বিশ্বভারতীর এই সম্মাননা আমি বাহিনীর তরফে গ্রহণ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।”