
কলকাতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার লার্ভা মুক্ত করতে বিভিন্ন জলাশয় নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা ।রবিবার এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বাগবাজার শখের হাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ।

বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এর উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ।এই সংস্থা প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ গাপ্পি মাছ কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম এর হাতে তুলে দেবেন। যাতে সহজেই কলকাতার বিভিন্ন বোরোতে তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে বংশ বিস্তারে বাধা দেবে৷ ফলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর হাত থেকে রেহাই পাবেন মানুষজন৷ প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন,“গাপ্পি মাছ মূলত মশার লার্ভা খেয়ে বেঁচে থাকে৷ কলকাতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই মাছ বিলিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আমি এখানে একজন পোষ্যপ্রেমী হিসাবে উপস্থিত হয়েছি৷ এটির নাম শখের হাট ব্যবসায়ী সমিতি , কিন্তু এদের সঙ্গে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে। লকডাউনের জন্য বিগত চার মাস ধরে সপ্তাহে একদিন( পড়ুন-রবিবার) বসা এই হাট আজও বন্ধ। আনলক-২ তে এই হাট দ্রুত খোলার ব্যবস্থা করা উচিত প্রশাসনের, বলে তিনি মন্তব্য করেন। লকডাউনের সমস্ত নিয়মবিধি মেনে যাতে এই হাট ফের চালু হয় সে বিষয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগের দাবি জানান তিনি ।

কোনও কোনও মহল থেকে যানজটের ধুয়ো তুলে ঐতিহ্যবাহী গালিফ স্ট্রিটের এই হাট অন্যত্র সরানোর যে চেষ্টা হচ্ছে, তা যে কোনও উপায়ে রক্ষার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন প্রাক্তন সাংসদ। এই বিষয়ে তিনি সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, যত বেশি গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে মশার উপদ্রব ততই কমবে৷
মশার উপদ্রবে নাজেহাল দশার অভিযোগ ঠেকাতে ইতিমধ্যে শহর জুড়ে স্প্রে করা শুরু হয়েছে। আবর্জনা, নর্দমা সাফাইয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। তাতেও মশার উপদ্রব কমছে না। এই পরিস্থিতিতে বংশবৃদ্ধি রুখতে লার্ভা অবস্থায় মশা নিধন করতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাপ্পি মাছ অনেকটা ছোট আকৃতির। কম অক্সিজেনযুক্ত ও অপেক্ষাকৃত দূষিত জলেও ওই মাছ বেঁচে থাকতে কোনও অসুবিধে হয় না। সাধারণ ভাবে ওই মাছের গড় আয়ু ৩-৪ বছর। প্রতি ঘণ্টায় একটি মাছ ২০০ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলতে পারে।
