ধর্মের উল্লেখ থাকবে না শংসাপত্রে, দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল পেলেন বাবা

নিজের জীবন থেকে ধর্ম জাতের চিহ্ন মুছে দিতে চেয়ে ছিলেন। কারণ তিনি ধর্ম বা জাত মানেন না। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রশাসন। তবে মেয়ের ক্ষেত্রে সফল হলেন আমদাবাদের রাজবীর উপাধ্যায়। মেয়ের স্কুলের রেজাল্টে ধর্মের জায়গা ফাঁকা রইল। এরপর থেকে শংসাপত্র ফাঁকা থাকবে।

পেশায় অটোচালক রাজবীর। ২০১৫ সালে নিজের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন রাজবীর। চেয়েছিলেন তাঁর যাবতীয় নথিতে পরিচয় হোক ‘আরভি ১৫৫৬৭৭৮২০’‌। আরভি তাঁর নাম, পদবীর আদ্যক্ষর। ওই সংখ্যাটা মাধ্যমিকের এনরোলমেন্ট নম্বর। তাঁর বক্তব্য, ” যেখানে নাম শুনলেই বোঝা যায় আমার ধর্ম, সেখানে ধর্মের চিহ্ন বহন করব কেন?” এই লড়াই এবার মেয়ে আকাঙ্ক্ষার জন্য। মেয়ের নামের সঙ্গে জাতি এবং ধর্মের চিহ্ন রাখতে চান না তিনি।আমদাবাদের জেলাশাসক এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। তামিলনাড়ুর আইনজীবী নেহার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ওই আইনজীবী বিভিন্ন দফতরে ঘোরার পর সরকারি নথিতে ধর্মের উল্লেখ না করার অনুমতি পান। এবার এই লড়াইয়ে জিতলেন রাজবীর উপাধ্যায়। তাঁর মেয়েকেও সরকারি বা বেসরকারি কোনও আবেদনপত্র বা শংসাপত্রে ধর্মের কথা উল্লেখ করতে হবে না।

২০১৭ সালে গুজরাত সরকারকে চিঠি লেখেন পেশায় অটোচালক রাজবীর। তিনি ওই চিঠিতে উল্লেখ করে ন, আমি যুক্তিবাদী এবং ধর্মনিরপেক্ষ। একই সঙ্গে আমার দেশও ধর্মনিরপেক্ষ। আমার নামেই ধর্ম, জাতি বোঝা যায়।” যদিও সেই সময় গুজরাত সরকার রাজবীর এর আবেদন মানেনি।