প্রবল চাপের মুখে বিকাশ দুবে-কাণ্ডে তদন্ত কমিশনের ঘোষণা যোগীর

বিকাশ দুবের তথাকথিত ‘এনকাউন্টার’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।

প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিকাশের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য এক সদস্যের কমিশন গঠন করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এই কমিশনকে দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিকাশ দুবে-কাণ্ডে একের পর এক ‘রহস্যজনক ও চাঞ্চল্যকর’ কাণ্ড ঘটে চলেছে৷

◾এক) বিকরু গ্রামে ৮ পুলিশকর্মী খুনের তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই SIT বা বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। কিন্তু বিকাশের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের তদন্তভার দেওয়া হয়নি তাদের। তদন্ত করবে এই এক সদস্যের কমিশন। SIT গঠন করেও কেন বিশেষ একজন বিচারপতিকে তদন্তের ভার দেওয়া হলো, তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে

◾দুই) বিকাশের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বক্তব্য, গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ উজ্জয়িনী থেকে কানপুর আনার পথে কনভয়ের গাড়ি উল্টে যাওয়ায় পুলিশকর্মীর পিস্তল কেড়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। আত্মরক্ষার্থে গুলি করে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বিকাশকে কেন হাতকড়া পরানো হয়নি? কেন তার পায়ে না করে বুকে গুলি করা হলো ? এমন একাধিক প্রশ্ন। জল্পনা শুরু হয়, তবে কি বিকাশকে জেরা করতে গিয়ে এমন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল, যা লুকোতে বিকাশকে খতম করে দেওয়া হল?

◾তিন) সেই জল্পনার আবহেই উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মী কে কে শর্মা আর এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷

◾চার) বিকরু গ্রামে পুলিশি হানার দিন বিকাশকে আগে থেকে সতর্ক করে দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে চৌবেপুর থানার এই পুলিশকর্মী কে কে শর্মাকে৷ বিকাশের মতো তাঁকেও মেরে ফেলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

◾পাঁচ) আরও চাঞ্চল্যকর, এই কে কে শর্মা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় বিকরু গ্রামে পুলিশকর্মী খুন ও বিকাশের এনকাউন্টারের CBI তদন্তও চেয়েছেন৷ ওদিকে, এনকাউন্টারের আগের দিন বিকাশের প্রাণের শঙ্কা রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে আরও দু’টি মামলা।

◾ছয় ) এত সব বিতর্কের মাঝেই পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, শনিবার থানে থেকে বিকাশের যে শাগরেদ গ্রেপ্তার হয়েছে, সে ৮ পুলিশ খুনের মামলায় অভিযুক্ত বা ওয়ান্টেড নয় বলে দাবি পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রভুর। অথচ শনিবার অরবিন্দ রামবিলাস ত্রিবেদি এবং তার গাড়িচালক সোনু তিওয়ারিকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ জানিয়েছিল পুলিশ খুনে অন্যতম অভিযুক্ত অরবিন্দ। অথচ এখন পুলিশ বলছে, “এরা বিকাশের গ্যাংয়ের পুরোনো সদস্য।চৌবেপুর-কাণ্ডে এদের যোগ নেই।”

Previous articleএবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসে ভাঙন? বিজেপিতে আরও সাত বিধায়ক
Next articleএকুশের ভোট নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক নাড্ডার