Tuesday, December 2, 2025

১০২! বিধায়ক সংখ্যা নিশ্চিত হতেই এআইসিসি ছেঁটে দিল শচীনকে

Date:

Share post:

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সংখ্যা জোগাড় হয়ে যাওয়ার পরেই শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কংগ্রেস হাইকমান্ডের। প্রদেশ সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করা হলো রাজেশ পাইলটের পুত্রকে। সঙ্গে তার দুই সঙ্গীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে এই মুহূর্তে রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কী অবস্থায় রয়েছে? দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার সময় কংগ্রেস জোটের আসন সংখ্যা ছিল ১১৮, বিজেপির ৭৯। ম্যাজিক ফিগার ১০১। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পরিষদীয় বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষে হাজির ছিলেন ৯০ জন বিধায়ক। কংগ্রেসকে সমর্থন করছে মায়াবতীর বিএসপির ৩ বিধায়ক। ১৩জন নির্দল বিধায়কের মধ্যে ৭ জন থাকছে কংগ্রেসের সঙ্গে, এছাড়া ছোট দুটি দলের ২জন বিধায়ক। সব মিলিয়ে ১০২ জন। প্রত্যেকে লিখিত সমর্থন দিয়েছেন বলেই খবর। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে একজন বিধায়ক সংখ্যা বেশি। এই সংখ্যা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় শচীনকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। এবার বহিষ্কার করেই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপসারণের কথা বলতে গিয়ে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, মাত্র ২৬ বছর বয়সে শচীনকে সাংসদ করেছিল দল। ৩৫ বছর বয়সে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, আর ৪০ বছর বয়সে উপমুখ্যমন্ত্রী। ১৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একজন মানুষের এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে তার কারণ কংগ্রেস। একমাত্র কংগ্রেসই তরুণদের প্রাধান্য দেয়। কিন্তু শচীন সেই সম্মান রাখতে পারল না!

spot_img

Related articles

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...

শিল্প সম্মেলন থেকে কনক্লেভ: শিল্পের উন্নয়ন-খতিয়ানের সঙ্গে সূচি প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর-এর কারণে নাজেহাল প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটার তালিকা তৈরির...

বিবাদিবাগে সরে যাচ্ছে সিইও দফতর, ভোটের আগেই নজরদারিতে কড়াকড়ি

চলতি মাসের মধ্যেই নতুন দফতরে সরে যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) অফিস। কমিশন সূত্রে খবর, বিবাদিবাগে শিপিং...