“আমরা রাজনীতি করবো না তো কি হরিনাম-কীর্তন করব? রাজনীতি করার ঠিকা কি একমাত্র মমতা ব্যানার্জি নিয়েছেন। আমরা সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করব। দম থাকলে আমাদের আটকে দেখান।” আজ শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণ-এ বেরিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে এখন পুরুলিয়াতে রয়েছেন দিলীপ। আজ, শুক্রবার ভোরে শহরের সাহেব বাঁধ রোড ধরে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু প্রথমসারির নেতা।
মর্নিংওয়াকের পর রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তৃণমূল প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপবাবু। নদিয়ায় দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূল বহু বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে এই রাজ্যে। তৃণমূল দলটাকে গুন্ডার দখল করে নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতের বাইরে চলে গিয়েছে সবকিছু। তাঁর কথা শোনে না কেউ। বিরোধীরা টার্গেট হচ্ছে। বিধায়ককে পর্যন্ত হত্যা করা হচ্ছে। রাতারাতি পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তৈরি করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। সার্বিকভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
এরপর সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিরোধীদের পাশাপাশি প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষকেও ভয় দেখাচ্ছে। মিডিয়া-সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই যা রাজ্যে। মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করতে গেলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। থানায় বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্র? মুখ্যমন্ত্রী বাইরের রাজ্যে গিয়ে দেখুন গণতন্ত্র কাকে বলে।
রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, এ রাজ্যে হাসপাতালের বিল্ডিং আছে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে থেকে যা করার সেটাই করছেন। কিন্তু ওনাকে অপমানিত হতে হচ্ছে। রাজ্যপাল বলে পারছেন না, অন্য কেউ হলে মমতা ব্যানার্জি তাঁকেও গ্রেফতার করতেন।