চন্দনদস্যু বীরাপ্পন, বিজেপিতে হঠাৎ উত্থান তাঁর কন্যার!

চন্দনদস্যু বীরাপ্পন। এখনও যে নাম শুনলে মানুষের রক্ত হিম হয়ে যায়। তাঁর কন্যা বিদ্যা। সেই বিদ্যা লকডাউনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ৬ মাস যেতে না যেতেই একেবারে তামিলনাড়ুর রাজ্য যুব মোর্চার সহ সভাপতি। সকলে বলছেন, বিজেপিতে তো এমনটা হয় না!

কিন্তু কী এমন পারফরম্যান্স বিদ্যার, যে তাঁকে একেবারে তামিলনাড়ুর যুব মোর্চার সহ-সভাপতি কর হলো? পেশায় আইনজীবী বিদ্যা কৃষ্ণগিরি এলাকায় একটা স্কুল চালান। মূলত ভানিয়ার সম্প্রদায়ের ভোটের কথা মাথায় রেখেই বিজেপিতে বিদ্যার উত্থান। কারণ, তামিলনাড়ুতে বিজেপি এখনও কোনওরকম ছাপ ফেলতেই পারেনি। যদিও পাক্কা রাজনীতিকের মতো বিদ্যা বলছেন, মানবতাই শেষ কথা আমার কাছে কে কোন সম্প্রদায়ের, তা বড় কথা নয়। নরেন্দ্র মোদির কাজে আমি উদ্বুদ্ধ।

বাবার স্মৃতির পাতা ওল্টাতে গিয়ে বিদ্যা জানান, তখন বছর সাতেক বয়স। স্কুলের গরমের ছুটিতে কর্নাটকে গোপীনাথমে গিয়েছিলাম দাদুর কাছে। তখন এক দুপুরে বাবা আমার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটাই। বাবা বলেছিল, ভাল করে পড়, ডাক্তার হতে হবে। পরিস্থিতি বাবাকে চন্দনদস্যু বানিয়েছিল। কিন্তু বাবার বহু কাজ ছিল, যা অনুপ্রাণিত করে আমাকে। বাবা রাজনীতি না করলেও তামিলনাড়ুর ভানিয়ার সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু কথা প্রচলিত আছে, যা আমার চলার পথে প্রেরণা যোগায়।

বিদ্যা অন্য সম্প্রদায়ে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। এমনকী ২০১১ সালে মায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থীও হয়েছিলেন। তবুও বলছেন, দল বড় পদ দিলেও এখন তিনি রাজনীতি শিখছেন।

Previous articleযাত্রী চাইলে বিমানে খালি রাখা হবে পাশের আসন! দেখুন কোন সংস্থা দিচ্ছে সুবিধা…
Next articleকর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন জন লুইস