মাত্রাতিরিক্ত বিল বিতর্কে অবশেষে পিছু হটলো CESC! বিদ্যুৎমন্ত্রী বলছেন “মানুষের জয়”

অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি। ক্রমাগত চাপ। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর কিংবা কলকাতা শহরের সাধারণ মানুষ অথবা খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী, সর্বস্তরের চাপের মুখে আপাতত পিছু হটল রাজ্যের শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ বণ্টনকারী বেসরকারি সংস্থা CESC।

চাপের কাছে নতিস্বীকার করে আজ রবিবার CESC আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, তারা আপাতত গত এপ্রিল ও মে মাসের ইউনিট খরচ স্থগিত রাখল। জানানো হল, যে বর্ধিত টাকা যোগ করা হয়েছিল এখনই সেই বাড়তি মাসুল দিতে হবে না গ্রাহকদের। শুধুমাত্র জুনের ইউনিট খরচটুকু দিলেই হবে। পাশাপাশি, বাড়ানো হল বিল মেটানোর মেয়াদও। এদিন টুইট করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়টিকে কলকাতার জয় বলেই মনে করছেন তিনি।

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়াতে এটা কলকাতার নাগরিকদের নৈতিক জয় বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা শুরু থেকেই
মাত্রাতিরিক্ত বিলের বিরুদ্ধে CESC-এর উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করে যাচ্ছিলাম। অবশেষে তারা বিলের বোঝা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটায় মানুষ উপকৃত হবে। কলকাতার মানুষের জয়”।

উল্লেখ্য, করোনা আবহে আমফান পরবর্তী সময়ে গ্রাহকদের ঘরে ঘরে CESC-এর পাঠানো মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। CESC-এর অস্বাভাবিক বিলের কোপ থেকে রক্ষা পাননি খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বেসরকারি এই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছায় রাজ্যে সরকারের।

গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হবে এমন কিছু বরদাস্ত করা হবে না বলেই CESC-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। নবান্নের তরফে অ্যাডভাইজরি পাঠানোর ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়ছিল। শুধু তাই নয়, CESC-কে নোটিশ পাঠাতে তৎপর হয়েছিল মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরও।

CESC-এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরে অভিযোগ ছিল, লকডাউনের ফলে সঠিক মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। আর তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অতিরিক্ত বিলের বোঝা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনিতেই লকডাউনে বেশিরভাগ মানুষের আয় কমেছে। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার উপর অতিরিক্ত বিলের বোঝায় নাজেহাল গ্রাহকরা।

বিরোধীরাও ধর্মতলায় CESC-এর দফতর ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। অবশেষে পিছু হটলো CESC. আর এই পুরো বিষয়টিকে মানুষের জয় হিসেবে দেখছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

Previous articleফের তিন ভারতীয়কে লক্ষ্য করে গুলি নেপাল পুলিশের
Next articleএবার করোনা আক্রান্ত হয়ে শহরের এক নামি চিকিৎসকের মৃত্যু