বাজারে অনেক টাকা ধার ছিল প্রয়াত দেবেনের, দাবি তদন্তকারীদের

হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যুর CBI তদন্ত দাবি করে তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন৷ আর তখনই CDI তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে৷ তদন্তকারীদের দাবি, স্থানীয় নেতাদের কাছে অনেক টাকা ধার ছিল প্রয়াত দেবেনের৷

২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর কয়েক মাস আগে পর্যন্ত দেবেন্দ্রনাথ রায় রাজনৈতিক দলের স্থানীয় একাধিক নেতার কাছ থেকে মোটা টাকা ধার নিয়েছিলেন৷ তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে CID ও উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের SOG বা স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ৷ তদন্তকারীদের বক্তব্য, দেবেন রায়গঞ্জের বিন্দোল এলাকার একটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই ব্যাঙ্ক থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল দেবেনের বিরুদ্ধে। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা মনসুর আলি জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগও জানিয়েছিলেন। CID সূত্রে খবর, দেবেন-কাণ্ডে ধৃত নিলয় সিংহকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার CID কর্তারা ওই ব্যাঙ্কে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছেন। CID-র দাবি, প্রোমোটারি ও চালকল ব্যবসার জন্য গত ৫ বছরে দেবেন কয়েক দফায় নিলয় ও মাবুদ আলি-সহ আরও বেশ কয়েক জনকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছিলেন। নিলয় ও মাবুদ-সহ কয়েক জন তাঁর টাকা হাতিয়ে নেন। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেছেন, ‘‘দেবেনবাবুকে তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। সত্য জানতে তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা কলকাতা হাইকোর্টে ওই ঘটনার CBI তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।’’ ওদিকে রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি পাল্টা বলেছেন, ‘‘ধার মেটানোর জন্য দেবেনবাবু আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আশাতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি আর্থিক সহযোগিতা বা দলে মর্যাদা, কিছুই দেয়নি৷ ফলে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন।’’

Previous articleউদ্ধার বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ! আগে কেউ দেখেনি
Next articleস্কুল খোলার বিষয়ে কী ভাবছেন অভিভাবকরা? জানতে চাইল কেন্দ্র