এক ফল বিক্রেতা তরুণী ঘন ঘন লকডাউন হওয়ায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। তিনি লকডাউনের প্রতিবাদ করছেন স্পষ্ট ইংরেজিতে। গরগরিয়ে বলছেন ইংরেজি। তাঁর এমন কথা শুনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গিয়েছেন পথচলতি মানুষ। পরে ওই তরুণী নিজেই জানান, ফল বিক্রি করলেও তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে।

দেশের চাকরির অবস্থা খারাপ নাকি একজন পিএইচডি করা মেয়ে শুধুমাত্র মুসলিম বলে তাঁর চাকরি নেই? পিএইচডি ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। ওই তরুণীর নাম রইসা আনসারি। ইন্দোরের বাসিন্দা। তাঁর গরগরিয়ে ইংরেজি এখন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ইন্দোরে বার বার লকডাউন জারি করা নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করছিলেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লকডাউন জারি হওয়ায় ওই এলাকার ফল এবং সবজি বিক্রেতাদের উপার্জন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷

রইসা বলেছেন, তিনি পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করেছেন৷ ইন্দোরের দেবী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে তিনি গবেষণা শেষ করেছেন৷
ওই তরুণী নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ শহরের একদিকে লকডাউন করা হচ্ছে তো কাল অন্যপ্রান্ত লকডাউন চলছে৷ এর ফলে বাজারে কোন ক্রেতা নেই, বেচাকেনাও বন্ধ৷ আমরা পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করবো কী করে?’

তবে ওই তরুণীর পিএইচডি ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ফল বিক্রি করছেন? এর উত্তর দিয়েছেন।
রইসার দাবি, কোনও জায়গায় চাকরি না পেয়েই বাধ্য হয়েই ফল বিক্রি শুরু করতে হয়েছে তাঁকে৷ তাঁর বাবা এই ব্যবসা করতেন৷ রইসা বলেন, ‘কোথাও কোনও চাকরি পাইনি৷ তার উপর এখন তো সবাই বলছে যে মুসলিমরাই নাকি করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী৷ যেহেতু আমার নাম রইসা আনসারি, তাই কোনও কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাই আমাকে চাকরি দিতে রাজি নয়৷’

In Indore a vegetable vendor Raisa Ansari protested against the municipal authorities when they came to remove the handcarts of vegetables.The woman later claimed that she has done Phd in Materials Science from DAVV Indore. @ndtvindia @ndtv @GargiRawat #lockdown #COVID19 pic.twitter.com/RieGffTMyP
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) July 23, 2020