১২ ঘণ্টা পরে ভাইরাস আক্রান্তের সৎকার, দেহ থাকা অবস্থায় বাড়ি স্যানিটাইজ!

টানা ৭ ঘণ্টা কেটে গেলেও করোনায় মৃত ব্যাক্তির সংকারে কেউ এগিয়ে এলেন না। গাউলিয়া পুরসভার অন্তর্গত ১ নম্বর ওয়ার্ড শান্তিগর এলাকার বাসিন্দা গত ১০-১২ দিন আগে ভাইরাস আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে নির্দেশ দেন। তবুও নিজের সিদ্ধান্তে বাড়িতেই অক্সিজেন আর প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিয়ে ছিলেন। বছর ৭৫-এর ওই বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে এবং পুত্রবধূ নিয়ে একই বাড়িতে ছিলেন। তাঁর কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরে দু’একবার এলাকা স্যানিটাইজ করা হলেও পরিবারের বাকি সদস্যের কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।

দিনের পর দিন শরীরের অবনতি হতে থাকলেও হাসপাতালে যেতে নারাজ ছিলেন তিনি। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোঁজ খবর রাখতেন। পরিবারের সকলকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে।পাড়ার লোকজনই গেটের বাইরে তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এনে দিয়ে যেতেন। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়িতেই মারা যান ওই রোগী। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় খবর দিলে, কিছুক্ষণ গেটের বাইরে পুলিশ থাকলেও, অভিযোগ তারপর তারা চলে যায়। মৃতদেহ সৎকারের জন্যে না পাওয়া যায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, না পাওয়া যায় পুরসভার কাউকেও। বৃদ্ধের ছেলে ও ছেলের বৌ আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে আরএনটেগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে টানা ৭ ঘন্টা কেটে গেলেও বাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে বসে থাকতে হয় পরিবারের সদস্যদের। শেষে রাত আড়াইটের সময় পুরসভার পক্ষ থেকে সৎকার করা হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনায় মৃত ব্যাক্তিকে বাড়িতে রেখেই তাঁদের বাড়ি স্যানিটাইজ করে দেয় পুরসভা।

Previous articleবাবরি ধ্বংস নিয়ে ৯২-এর আদবানিকে টানা সাড়ে চার ঘণ্টার জেরা
Next articleশনিবার ও বুধবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন, বাতিল বেশ কয়েকটি ট্রেন