Monday, August 25, 2025

বর্ষার মরশুমে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জেলাগুলি। বিহারে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এরইমধ্যে আবার জল ছাড়া শুরু করছে ম্যাসাঞ্জোর আর তিলপাড়া জলাধার। ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে তিন জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও ভবিষ্যতে তা খারাপ হবে বলে মনে করছে সেচ দফতর।

ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের বন্যা পরিস্থিতি চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা সেচদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ১৪ হাজার ৯০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দেওচা ব্যারেজ থেকে ১ হাজার ৮৫০ এবং বৈধড়া ব্যারেজ থেকে ৩ হাজার ১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর আগামীতে এলাকার নদীগুলিতে জল বেড়ে জেলার একাধিক মহকুমায় নদীর জলে একাধিক ব্লক প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে গ্রামে ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে বীরভূমেও টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, অজয়, কুয়ে, হিংলো প্রভৃতি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রামে দ্বারকা নদের জলস্তর বাড়ার ফলে পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের কংক্রিটের সেতুটির একাংশ ভেঙে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে মহানন্দা। বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে ফুলহরের জলস্তরও। কৃষিজমিতে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে চাষাবাদেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যার সতর্কতা জারি না করা হলেও, জলস্তর বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা সেচ দফতরের।

Related articles

একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস! মঙ্গলে জেলা সফরে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী

আগামিকাল, মঙ্গলবার বর্ধমানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফর ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে...

বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার শুরু, ধাপে ধাপে সরানো হবে দোকান

শিয়ালদহ ফ্লাইওভার বা বিদ্যাপতি সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করতে চলেছে কেএমডিএ। তার আগে সেতুর নীচে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে...

দার্জিলিংয়ে প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তাকদায় সূচনা নতুন দিগন্তের

চলতি সপ্তাহেই নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। প্রথমবারের জন্য পাহাড় পাচ্ছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে...

ঘোষণা ছাড়াই টালিগঞ্জ থেকেই ঘুরছে মেট্রো! স্বস্তি উড়েছে যাত্রীদের

কথা দিয়ে কথা রাখছে না মেট্রো! কোনও ঘোষণা ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রেন চালাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষোভ...
Exit mobile version