মুকুল রায় বিজেপিতে আছেন না দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নানা কানাঘুষো। দলের নানা মহলে নানা গুঞ্জন। সে নিয়ে নিজেকে ক্লিন চিট দিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার বিকেলে মুকুল যা বললেন তার নির্যাস এটাই, দল কোনও দায়িত্ব না দিলেও তিনি খুশি সারা দেশে এক্সিকিউটিভ কমিটির ১০০ জনের একজন হয়ে থাকতে পেরে। আর তৃণমূলে যাওয়ার খবর নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চান তিনি। কিন্তু সেই তদন্ত সিবিআই, সিআইডি না রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ করবেন, তা তিনি পরিষ্কার করে জানাননি।

মুকুল এদিন যা বললেন…
১. কেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে না? মুকুলের জবাব, কোভিড-১৯-এর কারণে রাজনৈতিক পরিধিটা বাড়ায়নি। আমার আশপাশের বিধানসভার মধ্যে নিজেকে সংযত রেখেছি।

২. মুকুলের স্বীকারোক্তি, দলবদলের খবরে বিভ্রান্ত। তাই আপনাদের কাছে জানাতে এসেছি, বিজেপিতে আছি, থাকব। দলবদলের খবর চাপা দিতে মুকুলের পাল্টা আক্রমণ, এ নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়ার দরকার। যারা এই খবর ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে পেলে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


৩. দিল্লি থেকে কেন চলে এলেন? মুকুলের জবাব, আমায় ২২শে যেতে বলা হয়, দু একদিনের জন্য সময় নিয়ে। কিন্তু মাঝে চোখের সমস্যা ডাক্তার দেখানো ছিল। সল্টলেকের বাসভবনের টেবিলে রাখা লাল ফাইল তুলে জানান, এই দেখুন, কাল চোখে ইঞ্জেকশান নিতে যাব। কিন্তু ফের দিল্লিতে যাওয়ার যে ডাক আসেনি তা মুকুলের কথাতেই পরিষ্কার। বললেন, কালকের পর পরিস্থিতি দেখে তারপর ভাবা যাবে।

৪. দিল্লির মিটিং আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। আমার কাছে এটা স্টক টেকিং করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আছে। এটাতে আমার প্রয়োজন নেই।

৫. অমিত শাহ বা জে পি নাড্ডা কি ফোন করেছিলেন? রক্ষণাত্মক মুকুল বলেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, বাইরে বলার নয়।

৬. দিল্লির বাড়ি থেকে মোদি-শাহর ছবি সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে মুকুলের জবাবদিহি, লকডাউনের কারণে অনেক দিন দিল্লি যাইনি। এর মাঝে দিল্লির ভোটের পর সব পোস্টার খোলা হয়েছিল। আমি গিয়ে খেয়াল করিনি। বলেছি আবার ছবি লাগাতে।
