সকাল থেকে রোগী দেখা শুরু। একটানা 24 ঘণ্টা সাতদিন চলবে এই ডিউটি। 6জুন থেকে 6 সপ্তাহের জন্য এই ডিউটি রোস্টার প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আর তার চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলেন এক চিকিৎসক। যদিও এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, উচ্চশিক্ষার জন্যে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের 6জন চিকিৎসক এই আওতায় পড়েছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি 24 ঘণ্টা একজন চিকিৎসকের পক্ষে সব রোগীর দায়িত্ব নেওয়া অসম্ভব। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি লেখেন ওই 6 চিকিৎসক। অভিযোগ, তারপরেই তাঁদের মধ্যে একজনকে মালবাজারে বদলি করে দেওয়া হয়।
এদিকে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রশাসন। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্করের অভিযোগ, কাজের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেইমতো রাউন্ডে যাচ্ছেন বা রোগী দেখছেন না চিকিৎসকরা। ক্ষোভ বাড়ছে রোগীদের। তাঁর মতে, 24 ঘণ্টা ডিউটি মানেই সর্বক্ষণ হাসপাতলে থাকতে হবে এমন নয়। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক এই নির্দেশের ফলে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।
