২৩ বছরের বাংলো ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা, সরকারের জামাই আদরে কেন আদবানি-যোশী!

সরকারিভাবে আজ, ৩১ জুলাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর বাংলোর চাবি ‘হ্যান্ড ওভার’ করলেন সরকারের কাছে। তিনি আসবাব গুরগাঁওয়ের একটি বাড়িতে রেখেছেন। দিল্লিতে সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি বাড়ি দেখেছেন। সেই বাড়ির সারাইয়ের কাজ শেষ হলে হয়তো সেপ্টেম্বর থেকে সেখানেই বসবাস করবেন। আপাতত দলের কাজ মা সোনিয়া গান্ধীর বাংলো থেকেই সারবেন।

প্রিয়াঙ্কাকে সরকারি বাংলো ফিরিয়ে দিতে বলার কারণ হিসাবে ১ জুলাই পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁর এসপিজি তুলে নিয়ে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এই নিরাপত্তায় নিরিখে সরকারি বাসস্থান দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। প্রশ্ন এই জায়গায়। তাহলে এল কে আদবানি বা মুরলি মনোহর যোশী কোন যুক্তিতে সরকারি বাংলো অধিকার করে রয়েছেন? এই দুই বর্ষীয়ান নেতা সাংসদ নন, সরকারি কোনও পদে নেই, এসপিজি নিরাপত্তাও নেই। তাহলে কোন বিশেষ ক্ষমতা বলে আদবানিকে আমৃত্যু বাংলো ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এবং যোশীকে ২০২২-এর ২৫ জুন অবধি সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার দেওয়া হয়েছে? ক্যাবিনেটের অ্যাকমোডেশন কমিটি একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে, সেই আইন যে আদবানি-যোশীদের বাংলো দেওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করতেই করা হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আইনে নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তের সুযোগ করে রাখা হয়েছে। সেখানেও প্রশ্ন, আদবানি, বা যোশী আপাতত অতীত। কোনও রজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকেন না। শরীরের কারণে বাংলো থেকে বের হন না। যাঁদের রাজনৈতিক মূল্যই নেই, জনসংযোগের প্রশ্ন নেই, তাঁদের সুরক্ষায় চিন্তা? আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, যিনি এই মুহূর্তে বিরোধী দলের অন্যতম মুখ, তাঁর সুরক্ষায় সেই প্রশ্ন নেই! এরপর যদি বিরোধী রাজনীতিকরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিশোধস্পৃহা বলেন, তাহলে কি ভুল বলবেন?