প্রতিবছর যাত্রী ভাড়া বাবদ রেলকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখতে হয়। যা বন্ধ করতে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে রেল মন্ত্রক। প্রাথমিক ভাবে ৫০টি রুটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রুটগুলির ট্রেন বেসরকারি সংস্থা চালাবে। এই তালিকায় আছে—
হাওড়া-দিল্লি, হাওড়া-মুম্বই, হাওড়া-চেন্নাই, দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-চেন্নাইয়ের মতো দূরপাল্লার রুট। একাধিক স্বল্প দৈর্ঘ্যের ইন্টার সিটি রুটও রয়েছে তালিকায়। বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে কলকাতা ও মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবার একাংশকেও। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চালানো ট্রেনের ভাড়া ওই রুটের অন্য ট্রেনের চেয়ে বেশি হবে, তাতে সন্দেহ নেই।
এমনকি, বেসরকারি সংস্থা যে সব যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি চালাবে তার ভাড়ার কোনও উচ্চতর সীমা নির্ধারণ করা হবে না। পাশাপাশি অপারেটরদেরও কর্তৃপক্ষের কোনও অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রক।
শুক্রবার রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বেসরকারি ট্রেনগুলির ভাড়া বাজার চালিত হবে ও কোনও অনুমোদনের কথা ভাবা হচ্ছে না। সূত্র অনুযায়ী, এই আইন কার্যকর করার জন্য রেলওয়ে মন্ত্রীসভার অনুমোদন ও সংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। কেন্দ্র সরকার বা রেলওয়ে মন্ত্রকই ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারে।
পাশাপাশি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যয়বহুল রোলিং স্টকের কারণে ট্রেনের ভাড়া বেশি হতে পারে। বেসরকারি সংস্থাগুলি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করবে, এবং সেখান থেকে রেল যাত্রীরা টিকিট বুকিং করতে পারবেন। রেলওয়ে বেসরকারিকরণের জন্য খসড়া ও স্পেসিফিকেশন শীঘ্রই জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে ।