Tuesday, November 11, 2025

একমো পদ্ধতিতে সুস্থ হলেন ভাইরাস আক্রান্ত যুবক, সাফল্য শহরের চিকিৎসকদের

Date:

রক্তে মাত্র ৯ শতাংশ অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৩১ কিলো ওজনের ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুললেন তিলোত্তমার চিকিৎসকরা। ‘এক্সট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ তথা একমো চিকিৎসা পদ্ধতি ১০০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করেছেন চিকিৎসকরা। আর তাতেই এশিয়ান জনের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন কলকাতার একমো সেন্টারের ডিরেক্টর ডা. কুণাল সরকার এবং তাঁর টিম।

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বর্ধমানের জোনের ইঞ্জিনিয়ার ৩৪ বছর বয়সী অতনু দত্ত। ওজন ১৩১ কিলো। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯ শতাংশ। ভেন্টিলেশন দিয়েও ফুসফুস সক্রিয় করা যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপরই একমো সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গত ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত একমোতে ছিলেন অতনু। সেন্টারের কো-ডিরেক্টর ডা. অর্পন চক্রবর্তী জানান, অতনুর চিকিৎসায় ঝুঁকি ছিল। ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ২০ কিলো ওজন কমেছে ওই ব্যক্তির।

এক্সট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতিতে বিকল হওয়া ফুসফুস সচল রেখে শরীরে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সার্স ও সোয়াইন-ফ্লুর ক্ষেত্রে ফুসফুস ও পার্কে সচল রাখা গিয়েছে এই পদ্ধতিতে। এ বিষয়ে ডা. কুণাল সরকার জানান, ” ভেন্টিলেশন বা আইসিইউতে কিছু সময় নজরে রাখলেই হয়। কিন্তু একমো পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রের উপর নজর রাখতে হয় বিশেষজ্ঞ টিমকে।”

Related articles

বুকে সংক্রমণ: লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হল প্রবীণ অভিনেতা প্রেম চোপড়াকে

বলিউডে সম্প্রতি যেন বিয়োগের গেরো। একদিকে ইন্ডাস্ট্রির হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে বুকে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে...

রাজধানীর নিরাপত্তায় এত খামতি! স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তোপ অভিষেকের

রাজধানীর নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই রাজধানী দিল্লিতে প্রাণখুলে বাঁচতে চাওয়া মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন...

বিস্ফোরক ধরা পড়তেই তড়িঘড়ি প্ল্যান-বি! দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্বের সন্দেহ

ধীরগতিতে চলা আই-টোয়েন্টি গাড়ি। তার সূত্র ধরেই দিল্লি বিস্ফোরণের জট ছাড়ানোর চেষ্টায় দেশের একাধিক এজেন্সি। প্রায় ১০০টি সিসিটিভি...

ধর্মেন্দ্র প্রয়াত! সকাল থেকে মৃত্যুর খবরে ধন্দ, ‘মিথ্যা’ দাবি ইশা দেওলের

গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। সোমবার তাঁকে ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়েছিল। চোখের জল ফেলে হাসপাতালে বাবাকে দেখতে এসেছিলেন সানি দেওল (Sunny...
Exit mobile version