পরিস্থিতি মেনে আরামদায়ক পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা

আলো পিছলে পড়া ব়্যাম্প। তার উপর বাহারি পোশাক পরে হাঁটছেন মডেলরা। কল্পনায় সে পোশাক আমরা পরতে পারলেও, বাস্তবে পরে কতটা স্বচ্ছন্দবোধ করব, তা নিয়ে একটু সংশয় থেকেই যায়। কথায় বলে আগামী দিনের পোশাক ভাবনায় শোকেস করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে এখন আর সেভাবে ফ্যাশন শো করা যাচ্ছে না। যা হচ্ছে সবই অনলাইন। আর তার সঙ্গে জুড়েছে আরেক সমস্যা লকডাউন। গৃহ বন্দি জীবন। বেশিরভাগ সময়টাই কাটছে ঘরে। ঘর থেকেই অফিসের কাজ। সুতরাং হাইফাই পোশাক আর কে পরবে বাড়িতে? তার থেকে একটি আরামদায়ক, দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকা যাবে আবার অনলাইন কনফারেন্স বা চ্যাটে একটু ভালো দেখাবে এমন পোশাকের চাহিদা বাড়ছে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে।সিআইআই আইডব্লিউএন আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় এই কথাই জানালেন দুই বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার কিরণ উত্তম ঘোষ এবং নীল।

কিরণ উত্তম ঘোষ জানান, এবছর মার্চ পর্যন্ত তাঁদের ব্যবসা ভালো চললেও, তারপরে থেকে চার মাস প্রায় কিছুই হয়নি। আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সামান্য উন্নতি হলেও বর্ষায় আবার যে কে সেই। এক্ষেত্রে অনলাইনের উপরই তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে বেশি। তবে অনলাইনে বেশি দামের পোশাক কিনতে কেউই খুব একটা রাজি হন না। সেক্ষেত্রে অল্প রেঞ্জের পোশাকের ওপর জোর দিতে হচ্ছে তাঁদের।
নীল জানালেন, ব্যবসায় কোভিড 19 থাবা বসিয়েছে ঠিকই, তবে অনলাইন বিজনেস বেড়েছে অনেকটা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যা হয় কারিগরদের। ফ্যাশান ওয়ার্ল্ড অনেকটাই নির্ভর করে তাঁদের উপর। কিন্তু এই চার মাস ব্যবসা না করলেও, কারিগরদের পাশে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তার সঙ্গে জরুরি জায়গায় পরিচ্ছন্ন রাখা এবং যেখানে জিনিস তৈরি হবে সেখানে স্যানিটাইজ করা।

কিরণ জানালেন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং, মাস্ক পরা এইসব বিষয়ে গ্রামের কারিগরদের সচেতন করাটাও একটা সমস্যা।
নীল বলেন, “নিউ নর্মাল লাইফের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদেরও ফ্যাশনকে মডিফাই করতে হবে”। কিরণ উত্তম ঘোষ বলেন, বেশি দামের জিনিস কিনতে গেলে লোকে একটু নাড়াচাড়া করে দেখতে চায়। সেক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে পরা যাবে, আরামদায়ক, অথচ আয়ত্তের মধ্যে দামের পোশাকই এই নিউ নর্মাল লাইফের মূল চাহিদা। সিআইআই আইডব্লিউএনের চেয়ারপার্সন সুচরিতা বসু বলেন, এখন অনলাইন মার্কেটিং একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। আর ফ্যাশন জগৎ সেই পথ ধরেই আগামী দিনে আবার ভালো জায়গায় পৌঁছবে।

Previous articleএকটি নয় তিনটি করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা জোরকদমে চলছে দেশে: প্রধানমন্ত্রী
Next articleবাইডেন জিতলে মার্কিনিদের চিনা ভাষা শিখতে হবে, আমেরিকাকে কবজা করবে চিন: ট্রাম্প