Friday, May 16, 2025

দিল্লিতে এসে জেপি নাড্ডার সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক হলো দিলীপ ঘোষের। দীর্ঘ সোয়া এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতিকে অপসারণ বা ডানা ছাঁটা নিয়ে যে জল্পনা হচ্ছিল, তাতে সম্পূর্ণ জল ঢেলে দলের রাষ্ট্রীয় সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, আপনার নেতৃত্বে দল বাংলায় দারুণ লড়ছে। এই লড়াইয়ের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে হবে।

রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ছ’টায় নাড্ডার ৭বি, মতিলাল নেহরু রোডের বাসভবনে পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষ। কৌশল বিনিময় এবং চা পানের পর বৈঠক শুরু হয় সন্ধে ৬টা থেকে। চলে সোয়া সাতটা অবধি। প্রথমেই দলের সভাপতি উত্তরবঙ্গ সফরের রিপোর্ট চান। দিলীপ মিনিট পনেরো ধরে রিপোর্ট দেন। বিপ্লব মিত্রকে আটকে রাখতে না পারার কারণও তিনি ব্যাখ্যা করেন। কথা হয় দলের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথের মৃত্যু নিয়েও। দলের পরের সাংগঠনিক বৈঠক কলকাতায় হবে। দিলীপ দলে কিছু সংযোগ-বিয়োগের প্রস্তাব দেন। নাড্ডা টিম সাজানোয় স্বাধীনতা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে এ নিয়ে দিল্লিতে আর এক প্রস্থ এ নিয়ে কথা হবে।

এদিনের বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি চাঁচাছোলা ভাষায় জানান, দলের একাংশ দল চালাতে বাধা দিচ্ছে, কার্যত বিরক্ত করছে, বিভিন্ন খবর খাওয়ানো হচ্ছে, শত্রু শিবিরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, সমান্তরালভাবে দল চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, দলের অভ্যন্তরীণ কথা বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। দিলীপ নাড্ডাকে বলছেন, যারা দৈনন্দিন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেই, দলের কর্মীদের সুখ দুঃখের কোনও খবর রাখেন না, তারা পদের সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো সাজার চেষ্টা করছেন। দুমদাম মন্তব্য করছে। এতে দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। প্রত্যুত্তরে নাড্ডা বলেন, উপেক্ষা করুন এসব কথা। আরও জোরদার লড়াই চাই। আন্দোলনে, প্রতিবাদে, বিক্ষোভে ব্যতিব্যস্ত করে দিতে হবে সরকারকে। দল সঙ্গে রয়েছে। পাশাপাশি দিলীপের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে নাড্ডা বলেন, এসব কথার জবাব দেবেন না। জাস্ট উপেক্ষা করুন। আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান। মনে রাখবেন, সাফল্যই কিন্তু শেষ কথা বলে।

Related articles

জন বার্লার মতো নেতা কেন দল ছাড়লেন ভেবে দেখুক বিজেপি: তোপ দিলীপের

গেরুয়া শিবিরকে জোর ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিরোধী...

ইস্টবেঙ্গলের তালিকায় ১৯ বিদেশি

নতুন মরসুমের জন্য এখন থেকেই দল গোছাতে ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সবার আগে দলের বিদেশিদের দিকেই নজর দিচ্ছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট।...

বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য কাজ: তিলোত্তমাকে সেরার শিরোপা কেন্দ্রের, কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর

ফের সেরার শিরোপা তিলোত্তমার মাথায়। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য কাজ করে কেন্দ্রীয়  সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে আনল...

পাক-মুখোশ খুলতে একজোট সব দল: একাধিক দেশে প্রচারে যাবেন সাংসদরা

পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) পরে গোটা বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা...
Exit mobile version